ঢাকাশনিবার , ১৬ মার্চ ২০২৪
  1. অন্যান্য
  2. অভিযোগ
  3. অর্থনীতি
  4. আইন বিচার
  5. আওয়ামী লীগ
  6. আগুন
  7. আটক
  8. আন্তর্জাতিক
  9. আবহাওয়া
  10. আমাদের পরিবার
  11. আরো
  12. আলোচনা সভা
  13. ইতিহাস ও ঐতিহাসিক
  14. ইসলাম
  15. ইসলামী জীবন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

অনাদর আর অবহেলায় গ্রাম-গঞ্জে জন্মানো ভাটিফুল আজ বিলুপ্তির পথে

50
admin
মার্চ ১৬, ২০২৪ ১:৩৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মোঃনাসির উদ্দিন পটুয়াখালী, প্রতিনিধিঃ

পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম-গঞ্জে রাস্তার পাশে, জঙ্গলে জন্মানো বনজুঁই বা ভাটিফুল সহজেই মানুষের নজর কাড়ে। ঋতুরাজ বসন্তের শুরু থেকেই ঝোপ-ঝাড়ে, জঙ্গলে, রাস্তার ধারে নিজের সুন্দর রূপ ছড়িয়ে থাকে ভাটিফুল। ভাঁট গ্রাম বাংলার চিরচেনা বনফুল।

স্থানভেদে এটির নাম ভাটি ফুল, ঘেটু ফুল, ভাত ফুল, ঘণ্টাকর্ণ থাকলেও এ অঞ্চলে ‘ভাটি ফুল’ নামেই পরিচিত। সনাতন ধর্মালম্বীরা ভাটি পূজায় এই ফুল ব্যবহার করে থাকে। এর বৈজ্ঞানিক নাম ক্লোরোডেনড্রাম ভিসকোসাম, ভারবেনাসেই গণের এই ফুল ল্যামিয়াসেই পরিবারভুক্ত।

এটি ইনফরচুনাটাম প্রজাতির এবং বাংলাদেশের আদি ফুল। ভাটিফুল দেশজ গুল্মজাতীয় বুনোফুল। ছোট আকৃতির নরম শাখা প্রশাখা বিশিষ্ট ঝোপ জাতীয় গাছে তোড়ার মতো ভাটিফুল ফোটে। ফুলের রং সাদা। পাঁচটি পাপড়ি।

প্রতিটি ফুলের অভ্যন্তরে বেগুনি রঙের ঢেউ যেন ব্রাশ দিয়ে টেনে দেয়া হয়েছে। তার মধ্যে সাদা বেশ দীর্ঘ কয়েকটি মঞ্জরি। রাতে ভাটিফুল গন্ধ ছড়ায়। ভাটিফুল ঔষধি উদ্ভিদ। এর পাতা কবিরাজরা অ্যাজমা, টিউমার ও সাপের কামড়ের প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহার করে থাকে।

এছাড়া গ্রামাঞ্চলের মানুষেরা জ্বর, চর্মরোগ ও বিছার হুল ফোটানোতে এর পাতা, ফুল, ফল ও মূল ভেষজ হিসেবে ব্যবহার করেন। উপজেলার গ্রামাঞ্চলের সর্বত্রই ভাটিফুলের কম বেশি দেখা মেলে। তবে অচাষকৃত বহু বিলুপ্ত উদ্ভিদের মতোন ভাটিফুলও বিলুপ্তির পথে।

এই সাইটে নিজম্ব খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকে। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।