মোস্তাফিজুর রহমান চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে আগ্রাবাদ এক্সেস রোড সংলগ্ন পুনাক জেলা পুলিশ লাইন্স পুনাকের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
১৭ মার্চ রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার সময় এঅনুষ্ঠানের আয়োজন করেন পুলিশ নারী কল্যাণ কমিটি পুনাক চট্টগ্রাম জেলা। এস আই মোস্তারী বেগম এর সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,শারমিন আক্তার,পুনাক সভানেত্রী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,মাজেদা মজিদ জুই,সহ-সভাপতি পুনাক চট্টগ্রাম জেলা।
এসময় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন,জেসমিন আসাদ জুই,সেক্রোটারি পুনাক চট্টগ্রাম জেলা।হাছনাহেনা বনলতা,ফারহানা ইয়াছমিন,প্রজ্ঞা পারমিতা, আফরোজা বেগম,মনজিলা মিতু ও প্রমুখ। এসময় অনুষ্ঠানে সভানেত্রী শারমিন আক্তার বলেন,আজ ১৭ই মার্চ সকালের সূর্য,বসন্ত বাতাসে ভেসে আসা ফুলের সুবাস, চঞ্চলা কোকিল, লেকের পানিতে খেলতে থাকা মাছের ঝাঁক ভালোবাসা উপহার হিসেবে পাঠিয়ে দিয়েছিল,সেদিন সকালে ঘুম থেকে তিনি জাগলেন নরম রোদের ছোঁয়ায়। ফুলের সুবাস তাকে মনে করিয়ে দিল জন্মের প্রথম প্রহরে মা শেখ সায়েরা খাতুনের চুলের সুবাস।
কোকিলের কুহু ডাক পিতা শেখ লুৎফর রহমানের কণ্ঠের ‘খোকা’ ডাক হয়ে জড়িয়ে ধরল গভীর আনন্দে। আর পানিতে ছড়িয়ে পড়া মাছদের লেজ ঝাঁপটানোর অর্কেস্ট্রা কানে ভেসে এলো জন্মদিনের শুভেচ্ছা নিয়ে।সেদিন সকালে ঘুম থেকে তিনি জাগলেন নরম রোদের ছোঁয়ায়। ফুলের সুবাস তাকে মনে করিয়ে দিল জন্মের প্রথম প্রহরে মা শেখ সায়েরা খাতুনের চুলের সুবাস। কোকিলের কুহু ডাক পিতা শেখ লুৎফর রহমানের কণ্ঠের ‘খোকা’ ডাক হয়ে জড়িয়ে ধরল গভীর আনন্দে। আর পানিতে ছড়িয়ে পড়া মাছদের লেজ ঝাঁপটানোর অর্কেস্ট্রা কানে ভেসে এলো জন্মদিনের শুভেচ্ছা নিয়ে।
১৯২০ সালের ১৭ই মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার শেখ পরিবারে তিনি জন্ম নিয়েছিলেন, ১৯৭১ সালে জীবনের একান্ন বছর পার করে যে সকাল তিনি পেয়েছিলেন, সেই সকালের সম্মিলিত বার্তা ছিল একটাই তিনি এখন কেবল টুঙ্গিপাড়া বা গোপালগঞ্জের নন। তিনি পাকিস্তানের পূর্ব অংশে বাস করা বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা।
এমনকি পশ্চিম পাকিস্তানের অধিকার সচেতন জনগণের ভালোবাসা পেয়েছেন তিনি। এজন্যই তো গতকাল, ১৬ই মার্চ তিনি বলেছেন, তার মতো খুশি আর কেউ নেই। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ইতিহাসের বরপুত্র তিনি। খোকা মিয়া, মিয়া ভাই, মুজিব ভাই, শুধুই মুজিবুর। এভাবেই ইতিহাসের সিঁড়ি বেয়ে একদিন তিনি এজিটেটর থেকে নেতা হয়ে উঠেছিলেন।
তারপর বঙ্গবন্ধু, ইতিহাসের মহানায়ক, একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশের প্রতিষ্ঠাতা পিতা। ক্ষমতার মোহনয়, জনতার আশা-আকাক্সক্ষাই তার পথ পরিক্রমণের লক্ষ্য ছিল। তাই এক দুর্গম অজপাড়াগাঁ থেকে উঠে এসে নিউইয়র্কের আলোকোজ্জ্বল জাতিসংঘ ভবনে দাঁড়িয়ে তার মায়ের ভাষা বাংলায় গর্বিত উচ্চারণে দুনিয়ার মানুষকে বাংলার সংগ্রামের ইতিহাস শোনাতে পেরেছিলেন। কিন্তু নির্মম নিষ্ঠুর ইতিহাস চক্রান্তকারীদের ষড়যন্ত্রের ছুরি দিয়ে তাকে পৃথিবীর বুক থেকে সরিয়ে দিয়েছে ঘাতকরা।
এই সাইটে নিজম্ব খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকে। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।