নিজস্ব প্রতিবেদক
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা থেকে বদলী হয়েছেন এসিল্যান্ড মোঃ আসাদুজ্জামান।
বদলী আদেশ মোতাবেক শ্যামনগর সহকারী কমিশনার (ভুমি) হিসাবে দায়িত্ব বুঝে দেওয়ার জন্য তিনি আগামী ৩০ মার্চ পর্যন্ত শ্যামনগরে অফিস করবেন।
যাওয়ার সময় তার নিকটে পেন্ডিং থাকা ১৫০ ধারার মামলা, নাম পত্তন কেস সহ সকল প্রকার উৎস থেকে কোটি টাকার মিশনে নেমেছেন বলে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন।
এমনই একজন ভুক্তভোগী শ্যামনগর উপজেলার ভেটখালী গ্রামের আবুল কাশেমের পুত্র আল মামুন জন প্রশাসন মন্ত্রনালয়ের সচিব বরাবর অনলাইন অভিযোগ সেবার মাধ্যমে অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে তিনি বলেন শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর মৌজার এস এ ৪৩৫ খতিয়ানের ১ একর জমির মালিক, তিন ভাই কোমরদ্দীন, কেরামদ্দীন ও ময়জদ্দীন সমান অংশ। দেঃ ৫৯/৯৭ মামলায় তিন ভাই সমান অংশে স্বত্ত্ব প্রচারের ডিগ্রি লাভ করে।
কিন্তু ময়জদ্দীনের ওয়ারেশগন দেওয়ানী আদালতের ডিগ্রি গোপন করে ১৩২/৬১-৬২ নিলাম উল্লেখ করে সম্পুন্ন জমি ২৬৪/২১-২২ নং কেসে ৩৯ শতক এবং
১৫৭৫/২৩-২৪ নং কেসে এসিল্যান্ড মোঃ আসাদুজ্জামান একই জমি একই ব্যাক্তির নামে পর পর দুইবার মিউটেশন করিয়ে দেয়। বিষয়টা জানতে পেরে মামুন দিং ১৫০ ধারা মোতাবেক মিউটেশন বাতিল করার জন্য ৮৯/২৩-২৪ ও ৯০/২৩-২৪ নং কেস দায়ের করেন। উক্ত কেস দুটির বিষয়ে তদন্ত করে কৈখালী ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা দেওয়ানী আদালতের রায় থাকার কারনে মিউটেশন কেস দুটি বাতিল করার সুপারিশ করেন।
সে মোতাবেক গত ২৭ ফেব্রুয়ারী শুনানী নিয়ে দেওয়ানী আদালতের রায় দেখে মিউটেশন দুটি বাতিল হবে মর্মে মতামত ব্যাক্ত করে ১৮ মার্চ রায়ের জন্য দিন ধায্য রাখেন। রায়ের সময় অপর পক্ষের নিকট থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ নিয়ে রায় পাল্টে দিয়ে মিউটেশন দুটি বহাল রাখার আদেশ দেন বলে আল মামুন অভিযোগে উল্লেখ করেন।
তিনি আরও বলেন মাত্র ১১ দিন এসিল্যান্ড মোঃ আসাদুজ্জামান শ্যামনগরে থাকবেন এ সময়ে প্রতিদিন তিনি তার অফিসে শত শত নাম পত্তন কেস প্রতি ৩ হাজার থেকে শুরু করে ২০/ ৫০ হাজার পর্যন্ত ঘুষ নিয়ে একের পর এক ফাইলে সই করছেন।
এই অল্প সময়ে যে পরিমান ফাইল নিস্পত্তি করেছেন তা তার শ্যামনগরে যোগদানের পর থেকে রেকড সংখ্যক ফাইল নিস্পত্তি হচ্ছে বলে অভিযোগকারী আল মামুন জানান।
অভিযোগের বিষয়ে এসিল্যান্ড মোঃ আসাদুজ্জামানের কাছে জানতে তার সরকারী নাম্বারে ফোন দিলে তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।