নিজস্ব প্রতিবেদক
সারা বিশ্বের খ্রিস্ট ধর্মের লোকেরা বিশ্বাস করেন, তাদের প্রধান ধর্মীয় নেতা যীশু খ্রীষ্ট মৃত্যুকে জয় করে এই দিনে পুনরুত্থিত হয়েছিলেন। যীশুর এই পুনরুত্থান কে কেন্দ্র করে তাইতো সারা বিশ্বের খৃস্টান ধর্মের লোকেরা আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠে। তারই অংশ হিসেবে ফ্রান্সের তুলুজ শহরে বসবাসরত খ্রিস্ট বিশ্বাসীরা আনন্দ উৎসবে মেতে উঠেছিল। রবিবার ছুটির দিন থাকায় সকাল থেকে অসংখ্য মানুষ রংবেরঙের পোশাক পরে নির্ধারিত অনুষ্ঠান স্থলে উপস্থিত হয়।
বাংলাদেশী প্রবাসী খ্রিস্টান এসোসিয়েশন,তুলুজ-ফ্রান্স কর্তৃক আয়োজিত সার্বজনীন এই ধর্মীয় উৎসবে বাংলা খিষ্টযাগ (উপাসনা) উৎসর্গ করেন ইটালির রোম থেকে আগত ফাদার লরেন্স এল গমেজ। ব্যস্ত সময়ের মাঝেও সংগঠনটি নানা অনুষ্ঠানে মাধ্যমে এ দিনটিকে রঙিন করেছিল। পাপ স্বিকার, বাংলা খ্রিষ্টযাগ, ইস্টার সানডের বিশেষ খাবার দই, চিড়া মুড়ি পরিবেশন- কীর্তন পরিবেশন,দুপুরের আহার আলোচনা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছিল উল্লেখযোগ্য। দুপুরের আহারের পরপর সংগঠনের সহ-সাধারণ সম্পাদক রিকি পি.রোজারিও সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ও আলোচনা সভা।
সাংস্কৃতিক সম্পাদক ইভা গ্লোরিয়া রোজারিও নেতৃত্বে দুই প্রজন্মের নৃত্য শিল্পীদের নিয়ে নৃত্যগুলো ছিল সত্যিই প্রশংসার যোগ্য।
সংগঠনের সভাপতি যোসেফ ডি’কস্তার সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক- মার্ক রায়, প্রচার সম্পাদক-পংকজ গমেজ, বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ কমিউনিটি এসোসিয়েশনের সভাপতি -ফখরুল আকম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক- শাকের চৌধুরী, ট্রেজারার-ক্যান্টন কস্তা, জে. বুলবুল গমেজ, কলিন্স গমেজ, তুষার সি.কস্তা, হিলারি মিনস্ সহ অন্যান্যরা। বক্তারা তাদের বক্তব্য উল্লেখ করেন যেদূর প্রবাসে প্রচন্ড কর্মব্যস্ততার মাঝে, এই মিলন মেলা যেন এক চিলতে আনন্দের খোরাক এবং নতুন প্রজন্মের জন্য অনন্য উদ্যোগ। এই সব অনুষ্ঠানের মাধ্যমেই তারা বাংলা সংস্কৃতির সাথে পরিচিত হয়। নিজেদের মাঝে পারস্পারিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করে।
সভাপতি যোসেফ ডি’কস্তা তার বক্তব্য উল্লেখ করেন তুলুজ শহরে ২৩ বছর আগে যে ধর্মীয় সম্প্রীতির সমাজ গড়ে উঠেছিল তা এখনো চলমান। তিনি আহ্বান জানান এমনিভাবে আমরা যেন নিজ নিজ ধর্ম বিশ্বাসকে বুকে ধারণ করে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে স্বাগত জানাতে পারি। এটাই প্রকৃত মানব ধর্ম। প্রবাসে এ ধরনের সার্বজনীন অনুষ্ঠান সফল করার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানান।