মোঃ মোস্তাইন বিল্লাহ দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধিঃ
একদিকে চৈত্রের খরতাপ অন্যদিকে লোডশেডিং। গরমের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে লোডশেডিং এর মাত্রাও বহুগুণ বেড়েছে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায়।
উপজেলা পল্লী বিদ্যুতের আঞ্চলিক কার্যালয়ের আওতাধীন দিনে মাত্র ৬ থেকে ৭ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকছে আর বাকী সময়ই লোডশেডিং হচ্ছে। ফলে বৈদ্যুতিক সেঁচপাম্প নির্ভর বোরো জমিতে ঠিকঠাক পানি সেঁচ দেওয়া যাচ্ছে না। সরেজমিনে অধিকাংশ বোরো জমিতে পানির অভাবে ফাটল দেখা গেছে।
লংকারচর গ্রামের সেঁচপাম্প মালিক রফিকুল ইসলামকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘সারা দিনরাতে চাহিদার তুলনায় খুব কম সময় বিদ্যুৎ থাকে। যতক্ষণ বিদ্যুৎ থাকে ততক্ষণই মোটর চালু রাখি তাতে মোট স্কিমের অর্ধেক জমিতে পানি দেওয়া যায়। আর বাকি জমিগুলোতে ফাটল ধরে। ফলে ফসল উৎপাদনে ঘাটতির আশংকা করছেন সংশ্লিষ্ট কৃষকরা। চর আমখাওয়া ইউনিয়নের বোরো ধানচাষী শাহ সফি জানায় ‘বিদ্যুতের অভাবে এবার ইরি ধান ঘরে তোলা নিয়ে অনেক চিন্তায় আছি। একমাত্র এই ইরি আবাদের মাধ্যমেই পরিবারের সারা বছরের খোরাক জুটে থাকে। সরকারের কাছে লোডশেডিং কমানোর জোর দাবি জানাই।
পৌর এলাকার চেয়ে মফস্বল এলাকায় বিদ্যুৎ কম থাকার অভিযোগ করেন এলাকাবাসীর অনেকেই।
এদিকে উপজেলার নিম্ন আয়ের মানুষের অনেকেই অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। রাতের বেলা লোডশেডিংয়ের কারণে পুরোপুরি ব্যাটারি চার্জ হচ্ছে না বলে জানান অনেকেই। উপজেলার অটোরিকশা চালক সুরমান আলী জানায়, ‘এই অটোরিকশাই আমার আয়ের একমাত্র মাধ্যম। সকালে গাড়ি নিয়ে বের হলে দুপুর পর্যন্ত চালাতে পারি। তারপর ব্যাটারির চার্জ শেষ হয়ে যায়। এতে যে টাকা উপার্জন হয় তা দিয়ে পরিবারের. ভরণপোষণ কোনোভাবেই হচ্ছে না।’
পল্লী বিদ্যুৎ দেওয়ানগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের ডিজিএম মুহাম্মদ ইয়াহিয়া সিদ্দিকী জানান, ‘আঞ্চলিক কার্যালয়ের আওতায় ছয়টি ফিডারের মাধ্যমে ৫২ হাজারের বেশি গ্রাহকের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। চাহিদার তুলনায় অনেক কম বিদ্যুৎ আমরা পেয়ে থাকি। যতটুকু পাই তা প্রত্যেক এলাকায় সমভাবে বণ্টন করা হয়।