ডেস্ক রিপোর্ট
প্রতিদিনই বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। পেঁয়াজ, আলু, ডিম, ব্রয়লার মুরগির বাড়তি দামে দিশেহারা ভোক্তারা। কয়েক মাস ধরেই এসব পণ্যের দাম ঊর্ধ্বগতিতে অসহায় হয়ে পড়ছেন ক্রেতারা।
বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের পক্ষ থেকে দাম নির্ধারণ করে দেয়া হলেও তা মানছেন না ব্যবসায়ীরা। বলতে গেলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়েরকে এক প্রকার বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কয়েক দফা বাড়ানো হয়েছে দাম।
দাম নির্ধারণ করে দেয়ার পরেও আলু, পিঁয়াজ, ডিমের দাম দফায় দফায় বেড়েছে। সরকার প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৬৫ টাকা নির্ধারণ করে দিলেও বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। আর কেজিপ্রতি আলু ৩৬ টাকা নির্ধারণ করা হলেও বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়।
আর খুচরা বাজারে ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকায়। অথচ সরকার তা নির্ধারণ করে দিয়েছে ১৪৪ টাকায়। অর্থাৎ প্রতি পিস ডিম ১২ টাকা নির্ধারণ করে দেয়া হলেও বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকায়।
নতুন করে দাম বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির। বিদ্যমান এমন পরিস্থিতিতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন সীমিত আয়ের সাধারণ মানুষ। আর বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষ।
রাজধানীর রায়েরবাজার, মালিবাগ রেলগেট বাজার, শান্তিনগর, মতিঝিল এজিবি কলোনি বাজার, হাতিরপুল বাজার, রাপুরা, মেরাদিয়া বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে গিয়ে দেখা যায় গত সপ্তাহের তুলনায় চলতি সপ্তাহে প্রত্যেকটি পণ্যের দাম বেড়েছে।
সরকারের বেঁধে দেওয়া দাম অনুযায়ী প্রতি কেজি পিঁয়াজ ৬৫, আলু ৩৬ এবং প্রতি পিস ডিম ১২ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা। কিন্তু কোথাও এ দামে বিক্রি হচ্ছে না।
শুক্রবার মালিবাগ রেলগেট বাজারে গিয়ে দেখা যায়, প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ টাকায়, পিঁয়াজের কেজি ১০০টাকা। আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়।
অধিকাংশ সবজির দাম আকাশছোঁয়া। বাজারে ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা, পটল ৭০, মিষ্টি কুমড়া ৪০, পেঁপে ৪০ টাকা, টমেটো ১০০ টাকা, কাঁচামরিচ ২০০ টাকা, শিম ২০০ টাকা কেজি। এ ছাড়াও শসা ৭০ টাকা, গাজর ১২০ টাকা, বরবটি ১২০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।
বাড়তি মাছ-মাংসের দাম। ব্রয়লার মুরগি ১৯০ থেকে বেড়ে ২০০ টাকা হয়েছে। সোনালি জাতের মুরগির কেজি ৩২০ থেকে ৩৩০ টাকা। ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস।
সীমিত আয়ের মানুষের ভরসা পাঙাশ, চাষের কই ও তেলাপিয়া জাতীয় মাছ। বাজারে পাঙাশ, চাষের কই ও তেলাপিয়া মাছের কেজিও এখন ২২০ থেকে ২৮০ টাকা।
এছাড়া রুই, কাতলা, কালিবাউশ ও মৃগেল বিক্রি হচ্ছে আকারভেদে ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকায়। যা কয়েক সপ্তাহ আগে তুলনায় কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা বেশি।