আবদুল মান্নান তামিম, স্টাফ রির্পোটার
নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ২৯ মে অনুষ্ঠিত হবে তজুমদ্দিন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারণায় নির্বাচনী পোস্টারে ছেয়ে গিয়েছিল পুরো তজুমদ্দিন উপজেলা। ০৫ টি ইউনিয়ন নিয়েই তজুমদ্দিন উপজেলা গঠিত।
হাট-বাজার ও গ্রামগঞ্জের সড়কের ওপর রশিতে ঝুলছিল নির্বাচনীয় পোস্টার। কিন্তু বৈরি আবহাওয়া,ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস গত ২-৩ দিনের থেমে থেমে বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে গেছে প্রার্থীদের পোস্টার। রশি ঝুলছে গাছে কিন্তু পোস্টার নেই।এ নিয়ে বিপাকে প্রার্থীরা। তবে থেমে নেই প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা সভা-সমাবেশ উঠান বৈঠক । কয়েক লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে প্রার্থীদের। সোমবার (২০ মে) উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এ দৃশ্য দেখা গেছে।
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সমর্থক ও প্রচার কাজে যুক্ত থাকা ব্যক্তিদের সাথে আলাপ করে জানা যায়,রাত জেগে পোস্টার লাগানো হয়েছে,পরিশ্রম পুরোটাই বৃথা। বৃষ্টির মৌসুম শুরু হওয়ায় লেমিনেটিং করেই পুনরায় পোস্টার ছাপাতে হবে চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের। কোথাও আবার রশিতে ঝুলছে ছেঁড়া পোস্টার।
কোথাও কোথাও রশিও ছিঁড়ে নিচে পড়ে আছে। সমর্থকরা জানান, পোস্টার নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এখন তাঁদের আবার নতুন করে পোস্টার লাগাতে হবে। বৃষ্টির কারণে পোস্টার নষ্ট হওয়ায় প্রার্থীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। জানা গেছে, প্রতিটি রঙিন পোস্টার ৬-৮ টাকা সাদা-কালো নির্বাচনী পোস্টারের জন্য ৪-৫ টাকা খরচ হয়।
২৯ মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ঠিক কি পরিমাণ পোস্টার টাঙানো হয়েছিল, তার সুনির্দিষ্ট কোনো হিসাব নেই। তবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন,সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত উপজেলাজুড়ে টানানো পোস্টারের সংখ্যা লক্ষাদিক পোস্টার।
এ বিষয়ে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তজুমদ্দিন উপজেলার দায়িত্বে থাকা রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ কয়সার খসরু বলেন,প্রার্থীদের নিয়ম,নিতি মেনে প্রচার-প্রচারণা করতে হবে।পোস্টার লাগানোর ক্ষেত্রে যে নির্দেশনা রয়েছে সেসব মেনে পুনরায় পোস্টার লাগাতে পারবে।