- শেখ নাইম ইসলাম, নিজেস্ব প্রতিনিধি
ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড হয় মোংলা’সহ সুন্দরবন উপকূলের মানুষের ঘরবাড়ি। ভেসে যায় কয়েক হাজার মাছের ঘের। পানিতে তলিয়ে ফসলেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়। এঅবস্থায় মৎস্য চাষি ও প্রান্তিক কৃষকরা চরম ক্ষতিগ্রস্তের মুখে পড়েছেন। কারণ প্রায় সবাই ব্যাংক ও বিভিন্ন এনজিও সংস্থার কাছ থেকে ঋণ নিয়ে ফসল ও মাছ চাষের পেছনে লগ্নি করেন। কিন্তু প্রলয়ংকারি ঝড়ে সব ভেসে যাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তারা।
সোমবার (০৩’জুন) সকালে কিস্তির টাকা আদায়ে ছয় মাসের স্থগিতের দাবিতে তারা মানববন্ধন করেন। মোংলা উপজেলা পরিষদের সামনে এই মানববন্ধন করার পর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা। এ মানববন্ধনে অংশ নেওয়া সত্যজিৎ মন্ডল, জামাল হোসেন, এনামুল সর্দার, এরশাদুজ্জামান সেলিম’সহ অনেকে বলেন, বিভিন্ন ব্যাংক ও এনজিওর কাছে চড়া সুদে লোন নিয়ে মৎস্য ও কৃষি চাষ করে আসছিলেন। কিন্তু হঠাৎ ঘূর্ণিঝড় রেমালে লন্ডভন্ড হয়ে যায় সব। রেমালের প্রভাবে পানিতে তলিয়ে যায় কয়েক তিন হাজারের বেশি মাছের ঘের, ফসলি জমি পানিতে ভেসে যায়। একইসাথে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ অবস্থায় চরম দুর্দশার কথা চিন্তা করে ব্যাংক ও এনজিওর ঋণের কিস্তি ছয় মাস স্থগিতের দাবি করেন তারা। এছাড়া তারা লোন নেওয়া টাকার সুদও মওকুফের দাবি জানান।
পরে ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক কৃষক ও মাছ চাষিদের দাবির প্রতি একাত্বতা প্রকাশ করে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ ইকবাল হোসেন, পৌরসভার কাউন্সিলর মোঃ শরিফুল ইসলাম, সরোয়ার হোসেন ও সুন্দরবন ইউপি চেয়ারম্যান ইকরাম ইজারাদার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন। মোংলা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ তরিকুল ইসলাম ইউএনও’র পক্ষে এই স্মারকলিপি গ্রহণ করেন।