ডেস্ক রিপোর্ট
কাঁচা হলুদ বাঙালির জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে প্রতিদিনের খাবার, আমাদের সুস্থ থাকার চাবিকাঠি হল কাঁচা হলুদ। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে প্রয়োজনের অতিরিক্ত কাঁচা হলুদ খেলে উপকারের চেয়ে অপকার হয় বেশি। সেটি সব বয়সী মানুষের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
কাঁচা হলুদ একটি ভেষজ উপাদান এবং এর ভেতর কারকিউমিনের মতো ভালো পলিফেনল আছে। আবার অক্জালেট, ফাইটেডের মতো খারাপ পদার্থও থাকে। আমরা প্রতিদিন খাওয়াদাওয়ার মাধ্যমে আয়রন, জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়ামের মতো যে খনিজ লবণগুলো শরীরে নিই এবং তাতে আমাদের সার্বিক সুস্থতা অটুট থাকে, সেই উপকারী সব খনিজ লবণ দেহের বেশি পরিমাণের কাঁচা হলুদ শোষণ করে নেয়।
ফলে শরীরে খনিজ লবণের গুণাগুণ কমে যায়। তার জেরে আমাদের দেহে রক্ত স্বল্পতার প্রবণতা দেখা দিতে পারে। কিডনিতে স্টোন হতে পারে।
বেশি কাঁচা হলুদ খেলে গুরুতর পেটের পীড়া বা ক্রনিক ডায়রিয়া হতে পারে। বাচ্চাদের ঘনঘন সর্দি-কাশি এড়াতে তাদের দুধে হলুদ মিশিয়ে খাওয়ানোর একটা প্রবণতা আছে। কিন্তু বড়দের মতোই বাচ্চাদেরও বেশি কাঁচা হলুদ খাওয়ালে শ্বাসকষ্ট দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
তবে পরিমিত হারে কাঁচা হলুদ খাওয়া অবশ্যই ভালো। এর ভেতরের কারকিউমিনের মতো ভালো পলিফেনল আমাদের শরীরের নানা ধরনের ব্যথা কমায়, পোকামাকড়ের কামড়ে ঘায়ের মতো হলে তার উপশম ঘটায়।