মোঃরেজাউল করিম বিশেষ প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইলের মির্জাপুর পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডে তীব্র নদী ভাঙ্গন; এমপি খান আহমেদ শুভ’র নিকট আপাতত জিও ব্যাগ ফালানোর দাবি করেন স্থানীয় এলাকাবাসী।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় যে, প্রতি বছরের মতো এবারও নদী ভাঙ্গনের ফলে হাজার হাজার জনগণ বাসস্থান হীন হয়ে পড়ছে। উক্ত এলাকা রক্ষা করার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বড় ধরনের ক্ষতিগ্রস্ত হবে। দিন দিন বংশাই নদী ভাঙ্গনে ভয়াবহ রূপধারণ করছে।
এই নদী ভাঙ্গনের কারণে একটি মসজিদসহ গ্রাম ও কয়েকশত ঘড় বাড়ি বিপদের মুখে আছে। উক্ত নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধ না করলে এখানকার বাসিন্দারা আর থাকতে পারবেন না। কোথায় গিয়ে আশ্রয় নিবেন এখানকার লোকজন। তাদের থাকার মতো কোনো জায়গা নেই। এমন কি বংশাই ব্রিজটি অনেকটা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। নদী ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে ব্রিজের পিলারের গোড়ায় এসে পড়েছে। যত তারাতারি সম্ভব-এর ব্যবস্থা নিতে হবে। যেকোনো সময় এই মসজিদ নদী ভাঙ্গনের কারণে ভেঙ্গ নদীতে চলে যেতে পারে।
মসজিদ থেকে নদী খুব বেশি একটা দূরে নাই, বলা যায় নদীর সাথেই একদম। ইতি মধ্যেই অনেকগুলা বাড়ি ঘর এবং অনেক জমি জমা নদীতে ভেঙ্গে ভেসে গিয়েছে। এলাকাবাসীরা অনেকটা আতঙ্কজনক হয়ে পড়েছে। নদী ভাঙ্গন ঠেকানোর জন্য বংশাই সেলুঘাট পুষ্টকামুরী পূর্বপাড়া থেকে বাওয়ার কুমারজানী বেলাল মাতাব্বরের বাড়ি পর্যন্ত ৩০০০ ফুট ব্লক নির্মাণ করার কথা থাকলেও সেটি এখন পর্যন্ত বাস্তবায়ন করা হয়নি। কবে তাদের স্বপ্ন পূরণ হবে। গ্রামবাসীদের এখন একটি দাবি ব্লক নির্মাণ কাজের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া।
তাহলে সাধারণ মানুষ নদী ভাঙ্গন থেকে রক্ষা পাবে। খুব শীঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন যাতে নদী ভাঙ্গন না দেখতে হয় তাদের। স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, আমাদের এলাকার শত শত বাড়ি ঘর সহ শত শত ডিশিমল জায়গা জমি নদীতে বিলিন হয়ে যাচ্ছে। দিন দিন এই নদী ভাঙ্গনের ফলে হাজার হাজার জনগণ বাসস্থানহীন হচ্ছে।
যদি দ্রুত ব্লক নির্মাণের কাজ না করা হয় তাহলে অনেক বড় ধরনের ঝুঁকিতে পড়বে এই এলাকার বাসিন্দারা। তবে নদী ভাঙ্গন রক্ষার্থে আপাতত জিও ব্যাগ ফালিয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে। এটি মির্জাপুর পৌর সদরের পুষ্টকামুরী পূর্বপাড়া ও বাওয়ার কুমারজানী মৌজা নিয়ে গঠিত এলাকা। আমরা এখন ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছি। গত কয়েক বছর যাবৎ নদী ভাঙ্গনের ফলে অনেক গুলো বাড়িঘর সহ জায়গা জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত আমরা কোনো পদক্ষেপ পাই নাই। আমাদের বর্তমান এমপি খান আহমেদ শুভ’র কাছে এই নদী ভাঙ্গনের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।
এখন বর্ষা মৌসুম এই সময় আরও বেশি নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ছে। এব্যাপারে টাঙ্গাইল-৭ মির্জাপুর আসনের সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভ এমপি মির্জাপুর বাসিকে বলেন, আমি বংশাই নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছি। এই এলাকার বাসিন্দারা নদী ভাঙ্গনের ফলে বাড়িঘর জায়গা জমি হুমকির মুখে আছে। আমি নদী ভাঙ্গন রক্ষার্থে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতেছি। অতি দ্রুত কাজ ধরা হবে।