মোঃ মজিবর রহমান শেখ, ঠাকুরগাঁও
পিএইচপি এরাবিয়ান হর্স ঢেউ টিন ও আনোয়ার সিট টিন দেওয়ার নাম করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে ঠাকুরগাঁওয়ের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাহমুদ মেশিনারির মালিক মাহমুদ আলম, তার ম্যানাজার সাকির হোসেন সৌরভ সহ ৩ জনকে জেল হাজতে পাঠিয়েছে বিজ্ঞ আদালত।
গতকাল বাদী পক্ষের আইনজীবী ইন্দ্র নাথ রায় মামলার শুনানি শেষে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, সম্প্রতি গত ১১ জুলাই আসামীগণ আদালতে হাজিরা দিতে গেলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত, রাণীশংকৈল, ঠাকুরগাঁও বিজ্ঞ বিচারক আরিফুর রহমান আসামীদের জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার আসামীরা হলেন– ঠাকুরগাঁও পৌরশহরের হাজীপাড়া মহল্লার হাফিজ উদ্দীনের ছেলে মাহামুদ আলম (৫৩), শান্তিনগর মহল্লার আনোয়ার হোসেনের ছেলে সাকির হোসেন সৌরভ (২৮) ও জাকির হোসেন শাওন (২৪) এবং সৌরভের স্ত্রী ফরিদা পারভিন (২৩)।
অভিযোগে জানা যায়, ঠাকুরগাঁওয়ের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাহমুদ মেশিনারির মালিক মাহমুদ আলম পিএইচপি এরাবিয়ান হর্স ঢেউ টিন ও আনোয়ার সিট টিনের ডিলার হিসেবে অনেক দিন যাবৎ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। দীর্ঘদিনের ব্যবসায়ীর সূত্র ধরে মাহমুদ আলম ও তার ম্যানেজার সাকির হোসেন সৌরভ উভয়ের যোগসাজসে ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল সহ বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীদের কোম্পানির অফার ও মূল্য ছাড়ের কথা বলে, মামলার বাদী গোবিন্দ চন্দ্র মন্ডল সহ ৮ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৮ কোটি ২৬ লাখ টাকা মাহমুদ আলমের ব্যাংক হিসাব, সৌরভের ব্যাংক হিসাব এবং সৌরভের স্ত্রী ফরিদা পারভিনের ব্যাংক হিসেবে গ্রহণ করেন।
নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলেও মামলার আসামি মাহমুদ আলম ও তার ম্যানেজার সাকির হোসেন সৌরভ ঢেউ টিন ও সিমেন্টের টিন দিতে গড়িমসি শুরু করে। এক পর্যায়ে টাকা ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে গোবিন্দ চন্দ্র মন্ডল বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে বিজ্ঞ অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালতে- ২০২৩ সালের ৫ জানুয়ারি মামলা দায়ের করেন।
বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন(পিআইবি) কে তদন্তের দায়িত্ব প্রদান করেন। পিআইবি তদন্ত শেষে চলতি বছরের ৯ জুলাই আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে।
তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় আসামীগণ পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে বাদী পক্ষের ৮ কোটি ২৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন।