আ:মান্নান তামিম, স্টাফ রির্পোটার
টাকার প্রলোভন দেখিয়ে ৭ বছরের শিশুকে বলাৎকারের অভিযোগে উঠেছে। গত বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার শম্ভুপুর ইউনিয়ন ৭নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। তবে শিশুটির মা-বাবা শিশুটির কাছে না থাকায় এ ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
অভিযুক্ত বলাৎকারকারী মো: লোকমান (৩২) তজুমদ্দিন উপজেলার শম্ভুপুর ইউনিয়নের ৪নং গোলকপুর ওয়ার্ডের জুনাব আলীর ছেলে। বলাৎকারের শিকার শিশুর বাড়ি চাঁদপুর ইউনিয়নের আড়ালিয়া গ্রামে। তবে শিশুটি বলাৎকারের শিকার হয় তার নানার বাড়িতে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন, স্থানীয় বাসিন্দা, শিশু ও তার নানি,অভিযুক্ত মোঃ লোকমান পেশায় অটো রিস্কা চালক। বলাৎকারের শিকার শিশুটির নানি ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন,গত বুধবার আমার নাতি মো:হাবিব, ৪৩নং উত্তর শম্ভপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে খেলা দেখতে যায়।
খেলা শেষে হয় সন্ধ্যার দিকে খেলা শেষে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলে পিছন থেকে একটি অটো রিস্কা আসতে দেখে রিস্কাটি আমার নাতি থামায় তখন অটো রিস্কা চালক লোকমান আমার নাতিকে বলে তোর নানা বাড়ি যাবি নাকি, আমার নাতি বলে হ্যা যামু তখন আমার নাতি অটো রিস্কায় উঠে অটো রিস্কার পিছনের সিটে বসলে লোকমান বলে ভাগিনা তোর সাথে আমার কথা আছে সামনের সিটে আস। তখন আমার নাতি যেতে না চাইলে জোরপূর্বক সামনে সিটি নিয়ে লোকমান তার পাশে সিটে বসায় বলে তোকে একটা কথা বলবো তুই কেউরে বলবি না এমনকি তোর নানিকেও বলবি না তোর সাথে আমি একটু শয়তানি করব বিনিময় তোকে অনেক টাকা দিবো এ কথা বলে লোকমান অনিল সাধুর বাড়ির রাস্তার উপর অটো রিস্কা থামিয়ে রাস্তার উত্তর পাশে বাগানে নিয়ে যায় সেখানে গিয়ে আমার নাতির পরনের প্যান্ট খোলার চেষ্টা করে তখন আমার নাতি চিৎকার করলে পুনরায় সেখান থেকে আবার অটো রিস্কায় উঠিয়ে হাজী বাড়ির পরে টাওয়ারের উত্তর পাশে একটি বাগানে নিয়ে যায় সেখানে জোরপূর্বক আমার নাতিকে বলাৎকার করে আমাদের বাড়ির দরজায় এসে নামিয়ে দিয়ে ১০ টাকা দিয়ে বলে মামার কাছে এখন ভাংতি টাকা নাই মামা কালকে থেকে প্রত্যেকদিন তোকে স্কুলে নিতে আসতে টাকা দিব তুই এই কথা কাউকে বলবি না।
তখন আমার নাতি বাড়িতে এসে কাউকে কিছু না বলে শুয়ে পড়ে কান্নাকাটি করতেছে এ দেখে আমি আমার নাতিকে জিজ্ঞেস করলে আমার নাতি পুরো ঘটনাটি আমাকে বলে এরপর আমি লোকমান দের বাড়িতে যাই যাওয়ার পরে লোকমানের বড় ভাই মোঃ ইউনুস বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে আমি তাদের কাছে ভালো কোন আশ্বাস না পেয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য লোকজনকে জানায় তারা আমাকে উপযুক্ত বিচার করে দিবে বলে আশ্বাস দেয়। বলাৎকার কারী মো : লোকমানের সাথে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার স্ত্রী বলেন, বলাৎকারের ঘটনাটি আশেপাশের লোকজনের কাছে থেকে শুনেছেন, বিষয়টি সামাজিক ভাবে সমাধানের চেষ্টা চলছে। জানতে চাইলে তজুমদ্দিন থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাকসুদুর রহমান মুরাদ বলেন, এ ধরনের ঘটনা থানায় কোন অভিযোগ দায়ের করা হয় নাই। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।