কালিয়াকৈর (গাজিপুর) প্রতিনিধি –
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার ভাতারিয়া এলাকার বাসিন্দা মোতাহার হোসেন টুটুলের স্ত্রী লুৎফর নাহার আখি স্বামীর সংসার ফিরে পেতে ২ সন্তান সাথে নিয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
স্থানীয় একাধীক সুত্র জানায়-উপজেলার ভাতারিয়া এলাকার বাসিন্দা স্থানীয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সরকারী হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষার মোতাহার হোসেন টুটুলের সাথে উপজেলার কালামপুর এলাকার লুৎফর রহমান (পূর্তগাল প্রবাসী) এর কন্যা লুৎফর নাহার আখির সাথে ৩০ শে এপ্রিল ২০০৪ ইং তারিখে বিয়ে হয়। তাদের দির্ঘ বিবাহিত জীবনে ১ কন্যা মিথিলা ও পুত্র রাজন্য জন্ম গ্রহন করে।বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন অজুহাতে শশুর বাড়ি থেকে টাকা নিতে থাকে টুটুল মাষ্টার। এর মধ্যে বাড়ি তৈরী করার জন্য আখির কাছে আরো ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবী করে। আখি টাকা দিতে অপরগতা জানালে শুরু হয় শারীরিক নির্যাতন আখির সামনেই পরনারীর সাথে অবৈধ মেলামেশা করে টুটুল এভাবে অত্যাচারের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে আখি প্রতিবাদ করে। এতে করে টুটুল মাস্টার তার মা বাবার কু পরামর্শে সস্তান সহ আখিকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। ২০২৩ সালের ১১ আগস্ট মোতাহার হোসেন টুটুল লুৎফর নাহার আখিকে তালাক প্রদান করে। পরে আখি বাদী হয়ে নারী নির্যাতন, যৌতুক, চরিত্রহীন, ও অর্থ আত্মসাৎ সহ বিভিন্ন অভিযোগে আদালতে কয়েকটি মামলা দায়ের করেন। যার প্রেক্ষিতে আদালত সিপি মামলা নং ২৯৫/২৩ তদন্ত প্রতিবেদনের জন্য গেল বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর ‘কালিয়াকৈর পৌর সভার মেয়রের নিকট প্রেরন করেন। মেয়র মজিবুর রহমান মামলাটি গ্রহন করে কয়েক দফায় বৈঠকে বসে ঘটনার স্বাক্ষ প্রমান সহ পর্যালোচনা করেন। এক পর্যায়ে সংসার টিকিয়ে রাখার স্বার্থে সালিশদার গনের সিদ্ধান্তে মামলা প্রত্যাহার করে নতুন করে বিয়ে রেজিঃ করে টুটুল-আখি ঘর সংসার শুরু করবে। সিদ্ধান্তনুযায়ী আখি তার দায়েরকৃত ২টি মামলা প্রত্যাহার করে নিলে গত ২৬/১০/২৩ ইং তারিখে দুই লাখ ৫ হাজার টাকা দেনমোহর ধার্য করে পুনরায় বিয়ে সম্পন্ন হয়। কিন্তু টুটুল মাস্টার স্ত্রী সন্তানদের ঘরে তোলে নিতে কালক্ষেপন করতে থাকে। বিষয়টি মেয়র মজিবুর রহমানকে জানালে তিনি টুটুল মাস্টারকে কয়েক বার নোটিশ পাঠালেও সে হাজির হয়নি। পরে মেয়র তার প্রতিবেদনে বিবাদীদে বিরুদ্ধে সকল মামলা পুনঃরায় চালু করার সুপারিশ সহ প্রতিবেদন দাখিল করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে লুৎফর নাহার আখি বলেন, আমার বিয়ের পর আমি জানতে পারি মোতাহার হোসেন টুটুল মাস্টার একজন চরিত্রহীন, ঠকবাজ প্রতারক ও লোভী, পরে তা হারে হারে টের পেয়েছি। আমাকে শারীরিক ভাবে নির্যাতন করেছে,আমার চোখের সামনেই ছাত্রীদের সাথে অবৈধ মেলামেশা করেছে। আমি তার কাছে থাকতে না পেরে জীবন রক্ষার্থে চলে এসেছি । তার উপযুক্ত শাস্তির দাবীতে মন্ত্রী, এমপি, নেতা, ও প্রশাসনের কাছে গিয়েছি,পরে শিক্ষা বোর্ড সহ আদালতে মোট ৫টি মামলা দায়ের করি। মেয়র সু বিচার করবেন আমাদের সুখের সংসার গড়ে দিবেন আশ্বাস দিলেন। নতুন করে বিয়ে দিলেন আবার তার নোটিশে বিবাদী হাজির হলেন না। পরে মেয়র টুটুল ও তার মা বাবার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের সুপারিশ উল্লেখ করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
বিষয়টি নিয়ে আলাপকালে স্থানীয় কাউন্সিলর আবুল কাশেম বলেন,মেয়র সহ আমরা সবাই ওদের সংসারটি জোড়া দিতে চেয়েছিলাম,কিন্তু টুটুল মাষ্টার কথা রাখেনি।
এ বিষয়ে কথা বলতে মোতাহার হোসেন টুটুল কে না পেয়ে তার মোবাইল নাম্বার ফোন দিলে তার মা ফোন রিসিভ করে বলেন টুটুল এখন ফোন ব্যাবহার করে না সে ঢাকা আছে।