নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড থানার ৩৯ নং ওয়ার্ড নিউমুরিং এলাকায় গত ১১ আগস্টে প্রবাসী নুর নাহার নামে এক নারীকে নিয়ে একটি বাসাভাড়া নেন মনির উদ্দিন।প্রবাসী নুর নাহার বেগমের সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হয় ২০২০ সালে।দীর্ঘ এক বছর প্রেমে হাবুডুবু খাওয়ার পর বিবাহ হয়,২০২১ সালে।বিবাহ বন্ধে আবদ্ধ হোন।
বিবাহের পর থেকে প্রবাসী নুর নাহারের কাছে থেকে স্বামী মনির উদ্দিন হাতিয়ে নিয়েছেন ২৪ লাখ ২২ হাজার টাকা।
স্বামীর কাছে স্ত্রীর মর্যাদা চাইতে গেলে খুন করার হুমকি দেন মনির উদ্দিন।২৯ আগস্ট বৃহস্পতিবার সন্ধায় এসব তথ্য জানান ভুক্তভোগী প্রবাসী নুর নাহার বেগম।
এবিষয়ে প্রবাসী নুর নাহারের কাছে জানতে চাইলে তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বিগত ২০২০ সালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয়, পরিচয় হওয়ার পরে বিভিন্নভাবে আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছেন মনির উদ্দিন। এসময় মনির উদ্দিন আমাকে বলেন আমি আগে একটি বিবাহ করেছিলাম,বর্তমানে আমার স্ত্রী নেই।তোমাকে আমার পচন্দ হয়েছে আমি তোমাকে বিবাহ করতে চাই, মনির উদ্দিন ‘র কথা শুনে আমি বিবাহতে রাজি হয়েছিলাম।বিগত ২০২১ সালের ৬আগস্ট শুক্রবার বিকেলে বদ্দারহাটের একটি কাজি অফিসে আমাদের বিবাহ হয়।বিবাহের পর থেকে মনির উদ্দিন আমাকে বলে,রিনা তুমি তো বিদেশে থাকবে,আমি দেশে বসে থেকে কি কাজ করব,তুমি আমাকে কিছু টাকা দাও আমি দুটি সিএনজি কিনবো এবং সেটিও তােমার নামে থাকবে,মনির এর কথা শুনে আমি তাকে ৪লাখ ৮০ হাজার টাকা দিয়েছিলাম,এবং একতলা একটি বাড়ী করার কথা বলে ১২ লাখ টাকা নিয়েছে,এছাড়া সৌদি থেকে প্রতিমাসে ১লাখ ও ৫০ হাজার করে টাকা তার একাউন্টে পাঠাতাম,এবং টাকা পাঠানোর প্রমাণসহ রয়েছে আমার কাছে।মনির উদ্দিন আমার সাথে লেনদেন করতেন বাংলাদেশ ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে।
তিনি আরও বলেন,মনির উদ্দিন আমাকে সৌদিতে থেকে আনার জন্য বারবার আমাকে ফোন করেছিলো,আমি ফোন পেয়ে গত ১১আগস্ট দেশে ফিরে আছি।দেশে আসার পর দেখি মনির উদ্দিন এপযন্ত আমাকে সহ মোট ৪টি বিবাহ করেছেন।এবং মনির উদ্দিন আমাকে বাড়িতে নেয়ার সময়
রাস্তায় ফেলে পালিয়ে যান,দীর্ঘক্ষণ ধরে ফোন করেও মনির উদ্দিন আমার ফোন রিসিভ করে নাই।পরে আবারও ফোন দিলে মনির উদ্দিন ফোন ধরে আমাকে বলে রিনা তুমি তোমাদের বাড়ীতে চলে যাও,আমি আর আসব না।পরে আমি একটি সিএনটি নিয়ে জমিদার আন্টির মোবাইলে যোগাযোগ করে বাসায় চলে আছি।
এবং এর আগে মনির উদ্দিন,গত ১আগস্ট ইপিজেড এলাকায় একটি ভাড়া বাসা নেন।গত ২৬ আগস্ট সোমবার রাতের ২টার সময় মনির উদ্দিন আবারও বাসায় চলে আসেন,প্রায় ১ঘন্টা পর মনির উদ্দিন আমাকে বলে রিনা আমার আরও কিছু টাকা লাগবে তুমি বাড়ীতে গিয়ে আমার জন্য টাকা নিয়ে এসো,একথা বলার পর আমি ওয়াশরুমে গেলে মনির উদ্দিন পালানোর জন্য ব্যাগ গুছিয়ে নেন।এবং সৌদি থেকে আসার সময় ২লাখ ৮০ হাজার টাকা নিয়ে আছি আমি,২লাখ ৮০ হাজার টাকা মনির উদ্দিন তার পকেটে ডুকিয়ে আমাকে ৫হাজার টাকা দিয়ে বলে এই টাকাগুলো তুমি তোমার কাছে রাখো সামনে তোমার কাজে লাগতে পারে, বলে মনির উদ্দিন রাতেই আমাকে রেখে পালিয়ে যান।এবং দু-মাসের রুম ভাড়া বাকি রেখে সে চলে গেছে.।বর্তমানে আমার কাছে একটি টাকাও নেই,রুম ভাড়া বা খাওয়া দাওয়া কিভাবে করব বুঝতে পারছি না।এবং মনির উদ্দিন পালিয়ে যাওয়ার সময় আমার বিবাহের সকল কাগজপত্র তার সঙ্গে করে নিয়ে যান,বর্তমানে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং আজকালের মধ্যেই মালমলাটি দায়ের করব।
তিনি আরও বলেন, স্ত্রীর মর্যাদা চাইতে গেলে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে আমাকে হুমকি দেন।এপযন্ত মনির উদ্দিন আমার কাছ থেকে ২৪ লাখ ২২হাজার টাকা নিয়েছে।বর্তমান সরকারের কাছে আমার একটাই দাবী মনির উদ্দিনকে আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তি দেয়া হোক, সেই সাথে আমার কাছ থেকে নেওয়া ২৪ লাখ ২২হাজার টাকা আমাকে ফেরৎ হোক।
এবিষয়ে বাড়ির মালিকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,গত ১ আগস্টে মনির উদ্দিন নামে একটি ছেলে আমার বিল্ডিং এর তৃতীয় তলায় একটি রুম ভাড়া নেন,রুম ভাড়া নেয়ার ১০ দিন পরে মনির উদ্দিন তার স্ত্রীকে নিয়ে বাসায় উঠেন,গত ২৭ আগস্ট মঙ্গলবারে মনির উদ্দিন রুমের ভাড়া পরিশোধ না করে রুম থেকে রাতের আধারে তার স্ত্রীকে রেখে পালিয়ে যান বলে জানান তিনি।
তবে এবিষয়ে মনির উদ্দিনের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।