এসডি সোহেল রানা স্টাফ রিপোর্টার
শেরপুরের শ্রীবরদীতে শ্রী শ্রী বারোয়ারী মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুরের অভিযোগের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ।
২ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুরে উপজেলা সদরের শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দিরে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের আহবায়ক জিতেন্দ্র মজুমদার ও সদস্য সচিব সুব্রত চন্দ্র দে সাক্ষরিত লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক বিপ্লব দাম ঠান্ডু। তিনি বলেন, শ্রীবরদী উপজেলার ভায়াডাঙ্গা বাজারে দুইটি মন্দিরের কমিটি নিয়ে দুই পক্ষের দ্বন্দ্ব রয়েছে।
গত ১ সেপ্টেম্বর রবিবার সকালে বারোয়ারী মন্দিরের তালার চেইন কেটে আসন্ন দুর্গাপূজার জন্য প্রস্তুতাধীন প্রতিমাগুলো একত্র করে রাখা হয়। পরে খবর পেয়ে জেলা পূজা উদযাপন কমিটির একটি প্রতিনিধি টিম সরেজমিন মন্দিরটি পরিদর্শন করে এবং প্রতিমাগুলো অক্ষত অবস্থায় দেখতে পায়। ঘটনাস্থল ভায়াডাঙ্গায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অত্যন্ত সুদৃঢ় অবস্থায় রয়েছে।
তবে প্রতিমা একত্রে রাখার বিষয়টিকেই গণমাধ্যমে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে বলে দাবি করেন তারা। বিপ্লব দাম ঠান্ডু আরও বলেন, ওই মন্দিরে প্রতিমাগুলো একত্র করা হয়েছিল। ওখানে আগুন দেওয়ার জন্য পেট্রোল রেখে দিয়েছিল। কিন্তু আগুন দেয়নি। তার মানে এটা পরিকল্পিত ঘটনা। দুর্গা পূজাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে ও ভয় দেখাতে কিছু দুস্কৃতকারী পরিকল্পিতভাবে এটা ঘটিয়েছে।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব সুব্রত চন্দ্র দে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ভায়াডাঙ্গায় দুটি মন্দিরের মধ্যে কোন মন্দিরে দুর্গা পূজার মন্ডপ হবে সেটি নিয়ে মতবিরোধ ও দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। আমি ইতোমধ্যে দুপক্ষকেই বলেছি, যাতে নিজেদের মধ্যে সমঝোতা করে। নাহলে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সুজিত দাস সুমন, মিঠুন চন্দ্র পাল, রাজন চন্দ্র দাস, সেতু সাহা, রতন কুমার সাহা, নব কুমার সাহা, প্রণব সাহা, ভায়াডাঙ্গা সার্বজনীন পূজা মন্ডপের সভাপতি সাজু বাসফর, সাধারণ সম্পাদক বীর গুণ রবিদাসসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।