অনুপ তালুকদার মধ্যনগর উপজেলা প্রতিনিধি ;
সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলায় বিদ্যুৎ এর বাণিজ্যিক উৎপাদন ব্যহত হওয়ায় সারাদেশে লোডশেডিং বৃদ্ধি পেলেও অন্যান্য পার্শ্ববর্তী উপজেলার থেকেও মধ্যনগরে অধিক লোডশেডিং হচ্ছে বলে অভিযোগ গ্রাহকদের।
অতিরিক্ত লোডশেডিং নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ক্ষোভ ঝাড়ছেন অনেকে। তবে বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ অর্ধেকে নেমে আসায় তারা লোডশেডিং দিতে বাধ্য হচ্ছেন।লোডশেডিংয়ের কারণে চরম বিপাকে পড়েছেন আবাসিক এলাকার বাসিন্দাসহ বিদ্যুতের ওপর নির্ভরশীল ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা।
গত কয়েক দিনের লাগামহীন লোডশেডিং ও অতিরিক্ত গরমের ফলে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকে। বিদ্যুতের ভেলকিবাজিতে অতিষ্ট গ্রাহকদের মধ্যে সামর্থবানরা ঝুঁকছেন আইপিএসের দিকে। তবে রুটিন মেনে চলা লোডশেডিংয়ে আইপিএসের ব্যাটারি চার্জ করা নিয়েও সংশয়ে পড়েছেন তারা।
এ অবস্থায় দ্রুত বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার দাবি জানিয়েছেন গ্রাহকরা।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিদ্যুতের আসা-যাওয়া নিয়ে ট্রল করছেন অনেকে। উপজেলার কয়েকটি গ্রামে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অনেক এলাকায় দিনের বেলায় বিদ্যুৎ থাকে না বললেই চলে। সন্ধ্যার দিকে বিদ্যুৎ এলেও কিছুক্ষণ পর চলে যায়। লোডশেডিংয়ের কথা বলতে গিয়ে মধ্যনগর উপজেলার কাহালা গ্রামের অনিক তালুকদার বলেন,আমাদের এখানে সব মিলিয়ে ৩ থেকে ৪ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকেনা।এইরকম বিদ্যুৎ দেওয়ার চাইতে না দেওয়াও ভাল ছিল।
নেত্রকোনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ধর্মপাশা ও মধ্যনগর সাব জোনাল অফিসের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার হাফিজুর রহমান জানান,আশুগঞ্জের গ্রীড ফেইল করার কারণে পুরো বৃহত্তর ময়মনসিংহেই লোডশেডিং বেড়েছে।তবে মধ্যনগর উপজেলার বিদ্যুৎ এর লাইন আলাদা না থাকায় অন্যান্য এলাকা থেকে একটু বেশি লোডশেডিং হচ্ছে।এ সমস্যা সমাধানের জন্যে আগামীকাল থেকেই মধ্যনগর পল্লী বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন আলাদা করার কাজ শুরু করা হবে।আগামী ১০ দিনের মধ্যে এ সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হবে বলে তিনি জানান।