নিজস্ব প্রতিবেদক
কুমিল্লার বিভিন্ন স্থানে বন্যার পানি কিছুটা কমতে শুরু করছে। এতে ভেমে উঠছে বন্যার ক্ষতি। তা দেখে বানভাসীদের কান্না বেড়ে যাচ্ছে।
বিশেষ করে গোমতী নদীর ভাঙনকবলিত এলাকাগুলোয় ভয়াবহ ক্ষতির চিহ্ন দেখে কান্নায় ভেঙে পড়ছেন সেখানকার মানুষ। সব হারিয়ে নিস্ব মানুষগুলোর সামনে এখন অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ।
গোমতীর ভাঙনের ফলে বুড়িচং উপজেলার বেড়িবাঁধ সংলগ্ন অন্তত ছয়টি গ্রামের মানুষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অনেকের বাড়িঘর ভেঙে পড়েছে। দীর্ঘদিন পানির নিচে থাকার পর ঘরের মালামাল নষ্ট হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত এসব মানুষকে পুনর্বাসনের পাশাপাশি তাদের মানসিকভাবে চাঙা রাখতেও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
চলমান বন্যায় কুমিল্লার ১৪ উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছেন বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার ৫ লাখের বেশি মানুষ। বুড়িচং অংশে গোমতী নদীর ভাঙন, ব্রাহ্মণপাড়া অংশে সালদা নদীর ভাঙন এবং সদর উপজেলা অংশে ঘুংঘুর নদীর ভাঙনের ফলে বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়ার মানুষজন পানিবন্দি হয়ে পড়েন।
দীর্ঘ ১৫দিন পর পানি কিছুটা কমতে থাকলেও এখনও অনেকে পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন। ঘরবাড়ি ভেঙে, মালামাল নষ্ট হয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন এ দুই উপজেলার মানুষ।