নিজস্ব প্রতিবেদক
কুমিল্লার বন্যা পরিস্থিতি আরও উন্নতি হয়েছে। তবে পানি কমছে ধীর গতিতে। এতে বানভাসি মানুষের ভোগান্তি রয়েই গেছে।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, পানি কমতে থাকায় বিধ্বস্ত বাড়িঘরে ফিরতে শুরু করেছে বানভাসি মানুষ। আশ্রয়কেন্দ্র থেকে অনেক মানুষ আসবাবপত্র নিয়ে নিজের ঘরে ফিরছে। বাড়িঘর পরিষ্কার করতে দেখা গেছে অনেককে।
গোমতী নদীর বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে সকালেও পানি বের হতে দেখা যায়। তবে গোমতী নদীর পানি প্রবাহ স্বাভাবিক রয়েছে।
এ দিকে বন্যার পানি যতই কমছে ততই দেখা দেখা যাচ্ছে ক্ষতচিহ্ন। ভেসে উঠছে, ধ্বংসপ্রাপ্ত সড়কগুলো। যার বেশির ভাগই খানাখন্দ হয়ে আছে।
এ ছাড়া প্লাবিত কুমিল্লা জেলার দক্ষিণাঞ্চল লাকসাম, মনোহরগঞ্জ, চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় বন্যার পানি কমে পরিস্থিতি আরও উন্নত হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের হিসেব মতে, জেলায় ১০ লাখ ৭৮ হাজার মানুষ পানিবন্দি অবস্থাতে ছিলেন। ৭২৪টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৭৮ হাজারেরও বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন। যাদের বেশিরভাগ এখন বাড়িঘরে ফিরে যাচ্ছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবেদ আলী বলেন, জেলা প্রশাসন থেকে ৩৯ লাখ নগদ টাকা ও ৮০০ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কুমিল্লা জেলায় ১৬ শ’ টন চাল, নগদ ২৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কুমিল্লায় পর্যাপ্ত ত্রাণ এসেছে। বিভিন্ন সংগঠন ও শিক্ষার্থীরা ত্রাণগুলো দুর্গতদের মাঝে এখনও পৌছে দিচ্ছেন।