রামপাল(বাগেরহাট)প্রতিনিধিঃ
বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার বাইনতলা ইউনিয়নে ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক পরিচালিত একটি প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা না করে প্রতি মাসে সরকার প্রদত্ত বেতন নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ অনিয়মের ব্যাপারে রামপাল উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বাইনতলা ইউনিয়নের কুমলাই গ্রামে আনুমানিক পাঁচ-ছয় বছর পুর্বে মজিদ শেখের ছেলে শেখ খালিদ হাসানের বাড়িতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে একটি প্রাক- প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়। শুরু থেকে প্রতিষ্ঠানটি সঠিকভাবে পরিচালিত হলেও আনুমানিক দুই বছর পুর্বে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
অভিযোগে আরও বলা হয় খালিদ হাসান ও তার স্ত্রী খাদিজা বেগম শিশুদের ছবি ব্যবহার করে বিভিন্ন নামে খাতা কলমে অনেক শিক্ষার্থী দেখান। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ওই এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শক মামুন বিপ্লব হোসেনকে ম্যানেজ করে প্রতি মাসে বেতন নিচ্ছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
অভিযোগের ভিত্তিতে সাংবাদিকদের একটি টিম উল্লেখিত বিদ্যালয়ে উপস্থিত হবে বুঝতে পেরে খালিদ শেখ বহিরাগত কয়েকজন ছোট ছেলে-মেয়ে এনে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি দেখানোর চেষ্টা করে। যাতে উপস্থিত কারো সাথে দৈনিক হাজিরা খাতার নামের সাথে মিল পাওয়া যায়না।
“অভিযোগকারী লিটন শেখ জানান, সঠিকভাবে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা না করায় এলাকার অনেকের সন্তান প্রাক- প্রাথমিক শিক্ষা লাভের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তিনি আরও বলেন শেখ খালিদ হাসান বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে চলায় এলাকাবাসী বিষয়টি জেনেও কোনো অভিযোগ করতে সাহস পায়নি। অন্যদিকে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট বিভাগের দায়িত্বে থাকা মামুন হোসেনকে জানালে শেখ খালিদ হাসান ক্ষুদ্ধ হয়ে গত ৩-৯-২০২৪ তারিখ রাতে তার ভাই তাহিদ শেখ ও নাহিদ শেখকে সাথে নিয়ে অভিযোগকারী লিটনের বাড়িতে ঢুকে তাকে গালিগালাজ করে মারধরের হুমকি দেয়।”
এ অভিযোগের ব্যাপারে শেখ খালিদ হাসানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যারা অভিযোগ দিয়েছে তারা মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে। প্রতিষ্ঠান ঠিকমতো চলছে। ইসলামী ফাউন্ডেশনের লোকজন নিয়মিত পরিদর্শন করে। অভিযোগকারী লিটনের সাথে পারিবারিক সমস্যা থাকায় তিনি ক্ষুদ্ধ হয়ে এমন মিথ্যা অভিযোগ করেছে। যার কোনো সত্যতা নেই।
“ইসলামিক ফউন্ডেশনের সাথে যোগাযোগ করা হলে বলা হয় আমাদের লোক নিয়মিত পরিদর্শন করে থাকে। কোনো অনিয়ম হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।”
এ বিষয়ে রামপাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার রহিমা সুলতানা বুশরা মুঠোফোনে এ প্রতিবেদককে জানান, উল্লেখিত বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে সত্যতা পেলে।আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”