নেত্রকোণা জেলার বিভিন্ন নদী খাল বিল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে কিছু বালুখেকুরা। বিট বালু অবৈধভাবে উত্তোলন করে সংরক্ষিত রেখে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করছে বালুখেকোর সিন্ডিকেটরা।
বারবার বলার পরেও প্রশাসন নিরব। বারহাট্টা উপজেলা সাহতা ইউনিয়নের দেওলী সিংরাজানের রুবেল তালুকদার নামে বিট বালু অবৈধভাবে উত্তোলন করার অভিযোগ উঠেছে। ফলে লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,বারহাট্টার সাহতা ইউনিয়নের দেওলী সর্বজনীন জাগরণী আশ্রম এর পাশে আব্দুল লুৎফর ওরফে চান মিয়ার প্রায় ৩০-৪০ শতাংশ জায়গা ভাড়া নেয় রুবেল তালুকদার।
সেখানে বিভিন্ন নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিশাল এক স্তূপ করে রেখে লড়ি, ট্রাক দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করে যাচ্ছে। এক দিকে যেমন সরকার লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে। অন্য দিয়ে সরকারি রাস্তা ভেঙ্গে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
এদিকে নেত্রকোণায় দায়িত্বরত সেনাবাহিনীদের জানালে তারা বালুর স্তূপ পরিদর্শন করে বালুখেকো রুবেল তালুকদারকে ২ নভেম্বর রাত আনুমানিক ৮টায় জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য নেত্রকোণার ক্যাম্পে নিয়ে যায় একটি টিম , পরে বিভিন্ন জিজ্ঞাসা করার পর তাকে ছেড়ে দেন । সেনাবাহিনী মেজর জিসান এঁর সাথে যোগাযোগ করে বালুর বিষয়ে কোন ব্যবস্থা নিয়েছেন কিনা সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন তারা এটা দ্রুত ফলোআপ করবে।
বালু ব্যবসায়ী রুবেলের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, তাতিঁয়র নামক এলাকা হতে এনেছেন। কিভাবে এনেছেন এমন প্রশ্নে বলেন,কংস নদী খনন করার সময় ঐ এলাকার( নাম বলতে পারেনি,) সরকারি ভাবে বালু ক্রয় করেছিলো যা প্রায় ৩ বছর হয়েছে। সেই লোকের নাম্বার চাইলে দিবে বললেও পরে নাম্বার দেয়নি।তখন আরো বলে,কয়েকজন মিলে জায়গায় ভাড়া নিয়ে বালু তোলে রাখেন এখন সেখান থেকে কিনে এনে ব্যবসা করছেন।
স্তূপের পাশে বসবাসরত একজন বলেন , এখানে অনেক বছর ধরে বিভিন্নজন বিভিন্ন সময় বালু এনে স্তূপ করে রাখে যার ফলে বাড়ির আশেপাশে ধুলাবালি ঘরে বাইরে ও কাপড়চোপড় দ্রুত ময়লা হয়ে যায় ধুলাবালির কারণে। তার চেয়ে বড় বিরক্ত কারণ হলো বিভিন্ন নদ-নদী থেকে এনে এখানে রাখার সময় ড্রেজার ও গাড়ির শব্দে অতিষ্ঠ। আর রাস্তাঘাটের এখন চলাফেরা করতে কষ্ট হয় , বালু লড়ি ট্রাক যাওয়ার কারণে ভেঙ্গে গেছে।
প্রশাসন এর ব্যবস্থা নেয় উচিত। এদিকে বারহাট্টা উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ফারজানা আক্তার ববি এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে উনাকে পাওয়া যায়নি। নেত্রকোনা জেলা প্রশাসকের বনানী বিশ্বাস এঁর সাথে বিষয়টি জানালে তিনি ব্যবস্থা নিবে বলে গণমাধ্যম কে আশ্বস্ত করেন । (পূর্ব -১)