২৪শের গণঅভ্যুত্থানের পরও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা আত্মগোপনে থাকলেও, তাদের সঙ্গী সুবিধাভুগিরা এখন আছে বহাল তবিয়াতে। আর এখনো তাদের বিভিন্ন রকম সুবিধা দিচ্ছেন সরকারী অফিসের কর্মকর্তারা।
গতকাল (১০ ডিসেম্বর) রাতে গণপূর্ত রংপুর জোনের ব্যাডমিন্টন সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজনে দেখা যায়, এরকম সুবিধাভুগি কয়েকজনকে। যারা দীর্ঘদিন ধরে গণপূর্ত অধিদপ্তরের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করে যাচ্ছেন।
এমনকি ৫ই আগস্টের পর সেসব সুবিধাভুগিদের নামে আওয়ামী লীগকে সহযোগিতা ও আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার জন্য মামলা রয়েছে। এরকম মামলার একজন আসামি গণপূর্ত এর ঠিকাদার টিটু মিয়া। তারা অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলের আমন্ত্রণে অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়াসহ নিয়ন্ত্রণ করছে, ঠিকাদারী কাজ। মামলা থাকার পরও, এসব কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় আইনের ধরাছোঁয়ার বাহিরে থাকছেন।
গণপূর্ত অধিদপ্তরের ঠিকাদারী নিয়ন্ত্রণকারী এই দুই মূল হোতা ছাড়াও এই সিন্ডিকেটের রয়েছে ঠিকাদার বারী মিঠু, সেলিম, আকবর আলী, বাবুল আক্তার, যুবলীগের সাবেক নেতা জবা, ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মওদুদ, সাগর, নিলয় প্রমুখ। তবে সিন্ডিকেটের মূল হোতাকে সব সময়ই দেখা যায় অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে।
সুবিধা ভুগি এসময় ব্যক্তিদের দিয়ে রংপুরের গণপুর্ত অফিসের কাজের নিয়ন্ত্রণ ও তা বিভিন্ন ঠিকাদারদের পাইয়ে দিতে সহযোগিতা করেন রংপুর গনপূর্ত অফিসের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আবুল খায়ের।
এ বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সাকিউল আলমকে মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলে রিং হয় কিন্ত রিসিভ হয় না। তিনি লাইন কেটে দেয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আবুল খায়েরকে বারংবার মুঠোফোনে কল দিলে রিং হয় কিন্তু রিসিভ করেনা।
৫ ই আগস্টের পর আন্দোলনে আহত হওয়া বিএনপি’র ২৯ নাম্বার ওয়ার্ডের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ মামুনের করা মামলায় আসামি হন ঠিকাদার টিটু মিয়া।