ডেস্ক রিপোর্ট
শীত শীত ভাব রাজধানীতেও। সকাল বা সন্ধ্যার আবহাওয়া মনে করিয়ে দিচ্ছে যে শীত দরজায় কড়া নাড়ছে। নভেম্বরের কয়েকটি দিন গেলেই ডিসেম্বর। তখন শীত আরো জেঁকে বসবে। প্রতিবার শীত এলে রাজধানীতে যারা পিঠার পসরা নিয়ে ফুটপাতে বসে তারা এবাও পিঠা তৈরী ও বিক্রি শুরু করেছে। গত কয়েকদিন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পিঠার দোকানীরা সন্ধ্যায় পিঠা তৈরী ও বিক্রি জমজমাট না হলেও শুরু করেছে।
ভোজন রসিক বাঙালির খাবার তালিকায় পিঠা-পুলির স্থান সব সময়ই শীর্ষে । বিশেষ করে শীত এলে তো কথাই নেই। গ্রাম থেকে শুরু করে শহরের বাসাবাড়ির পাশাপাশি বাজার ও নগরীরর অলিগলিতে বসে পিঠা বিক্রির ধুমপড়ে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
চিতই পিঠা। রাজধানীসহ সারাদেশের অতিপরিচিত একটি নাম। প্রায় সারাবছরই এ পিঠার দেখা মিললেও শীত এলে কদর বেড়ে যায় কয়েকগুণ। মৌসুমী পিঠা বিক্রেতারা ব্যস্ত হয়ে পড়েন পিঠা তৈরিতে। শীত আসতে এখনও কিছু দিন বাকি থাকলেও পিঠার বিক্রি শুরু হয়ে গেছে।
বিভিন্ন জেলা শহরের রাস্তার পাশে মাটির চুলোয় টাটকা খেজুরের রসের পিঠাসহ নানান ধরনের পিঠা পাওয়া গেলেও ঢাকা শহরে মূলত ভাপা পিঠা, চিতই পিঠা, চাপটি পিঠা ও তেল পিঠা বেশী চলে।
ভাপা পিঠা মূলত সকাল ও সন্ধ্যায় বিক্রি হয়। বেলা বাড়লে এ পিঠা পাওয়া যায় না। খুব ভোরে শুরু হয়ে বেলা ১০/১১টা পর্যন্ত এবং বিকালে শুরু হয়ে রাত ৯/১০টা পর্যন্ত এ পিঠা বিক্রি হয়। তবে অন্যান্য পিঠা সারাদিনই পাওয়া যায়। বিশেষ করে চিতই পিঠা সব সময়ই পাওয়া যায় ঢাকা শহরে।
শীতের শুরুতেই পুরান ঢাকার সবখানেই বিভিন্ন পদের পিঠার কদর বেড়েছে। ফলে পিঠা ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের চাহিদামতো তৈরি করছেন বৈচিত্র্যময় সব পিঠা। এর মধ্যে রয়েছে— পাটিসাপটা, খেজুর পিঠা, ভাজা পুলি, সিদ্ধ পুলি, দিপ পিঠা, নকশী পিঠা, মালপোয়া, পোয়া পিঠা, চিতই পিঠা, চাপটি পিঠা, তেল পিঠা প্রভৃতি।
শহরে সারাবছর যেসব পিঠা পাওয়া যায়, তার অধিকাংশ থাকে চিতই পিঠা। দোকানিরা পিঠা-প্রেমিকদের আকর্ষণ করার জন্য সরিষাসহ হরেক রকমের ভর্তার ব্যবস্থা করে রাখেন, যেন পিঠা-প্রেমিকরা এ পিঠা তৃপ্তি নিয়ে খেতে পারেন।
জিগাতলার পিঠার দোকানদার শ্যামলী বলেন, আমি এই এলাকায় প্রতিবছরই পিঠা বিক্রি করি। এখন বিক্রি একটু কম। শ্যামলী বলেন, শীত বেশী হলে পিঠা বিক্রি বাড়ে। প্রতিদিন ১০০০ থেকে ১২০০টাকা পর্যন্ত লাভ থাকে।
ফার্মগেট এলাকার ফুটপাথের পিঠার দোকানি রহমত আলী বলেন, এখানে ১২ মাসই পিঠার ব্যবসা রমরমা চলে। পিঠা গ্রাহকদের জন্য পিঠার সাথে কয়েক পদের ভর্তা দেওয়া হয়; যেন মানুষ খেয়ে মজা পায়, আর বারবার খেতে আসে। শীতের মধ্যে কয়েক রকমের পিঠা তৈরি করে থাকি।