রানা ইসলাম বদরগঞ্জ রংপুর
হিন্দু ধর্মাবলম্বী সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। আর মাত্র বাকি রয়েছে ছয়দিন কিন্তুু রংপুরের বদরগঞ্জে বিপনি বিতানগুলো এখনো জমে ওঠেনি বেচাকেনায়।গতকাল শনিবার পৌরশহরে বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে অধিকাংশ ব্যবসায়ী ফাঁকা বসে আছে।আবার কোন কোন দোকানে দুই একজন গ্রাহক লক্ষ্য করা যায়।চলতি বছরের শারদীয় দূর্গা পূজায় বেচকেনায় কম হওয়ার কারন অনেকেই মনে করছে বাজারে দ্রব্যমূল্য উর্ধগতি ও এই সময়ে কোন ফসলের মৌসুম না হওয়ায় মানুষের হাতে টাকা কম থাকায়।
পৌরশহরে বিপনি বিতানে শিশুদের কাপড়,কিনতে আসা মধুপুর ইউনিয়নের বিমল দাস তিনি আক্ষেপ করে বলেন,ভাই ছেলেমেয়ের জন্য কাপড় কিভাবে কিনবো বাজারে যে অবস্থা ১হাজার টাকা বাজারে নিয়ে গেলে একটাকাও থাকেনা।আবার সামনে দূর্গা পূজা ছেলেমেয়ে কাপড় কিনতে এসে দেখি কাপড় চড়া দাম খুব মুশকিল মধ্যে আছি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শিক্ষক বলেন,মাস শেষে বেতন যে টাকা পাই বিভিন্ন দোকানে বাকিতে পন্য আনা,টাকা দিতেই শেষ হয়ে যায় জিনিসপত্র দাম বেশি হওয়ায়।এখন চিন্তা করছি স্ত্রী সন্তানদের পূজা উপলক্ষে কিভাবে পোষাক কিনে দিবো। বাধ্য হয়ে কারো,কাছে টাকা কর্য নিতে হবে এছাড়াও কোন উপায় নাই
হাসপাতাল সড়কে নাহিদ ব্রাদার্সের স্বত্বাধিকার রাজিব হোসেন বলেন, গতবারের চেয়ে এবার বেচাকেনা সুবিধা না।তারপর মানুষের হাতে পয়সাও নেই। মানুষ হিসেবের মধ্যে পরে গেছে।তারপরও আমরা,আশাবাদী সামনে ছয়দিনে যদি ভাল বেচাকেনা হয়।
ফরিদ,নামে তৈরি পোশাকের এক ব্যবসায়ী বলেন,
এমনিতেই বাজারে লোকসমাগম কম আবার কাপড় দাম বেশি হওয়ায় মানুষ কাঙ্খিত দাম বলছে না। ফলে অনেক ক্ষেত্রে যৎসামান্য লাভে পোশাক বিক্রি করছি যা আমাদের ব্যবসায় ঝুঁকি মধ্যে পড়ে যায়।
বদরগঞ্জ বাজারে কাপড় ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নজরুল ইসলাম খান বলেন,মানুষ খুব চিন্তা ভাবনা মধ্যে আছে বাজারে অন্যান্য জিনিসপত্র দাম দ্বিগুণ বেড়ে যাচ্ছে যা আমাদের ব্যবসায় প্রভাব ফেলছে।তিনি আরো বলেন সামনে পূজা ছয়দিন বাকি আছে আমরা ভাল বেচাকেনার আশা,করছি।
এই সাইটে নিজম্ব খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকে। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।