নাসির উদ্দিন নাহিদ তালুকদার জেলা প্রতিনিধি
মাদারীপুরে কলেজ রোড এলাকায় অতিরিক্ত মদপানে দুই তরুণীর মৃত্যু হয়েছে। অসুস্থ্য অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে আরও ৩ জন। পরে তাদের আটক করেন পুলিশ।
রোববার (১৫ অক্টোবর) সকালে সদর হাসপাতালে নিহতদের মৃতদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
শনিবার রাত আনুমানিক ২.৩০ টায় দিকে মাদারীপুর পৌরসভার কলেজ রোড এলাকায় ঢাকা উত্তরায় কর্মরত ভূমি অফিসের তোশিলদার লুৎফর রহমান মোল্লার ৫তলা বাড়ির চার তলায় একটি ফ্লাটে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলো- মাদারীপুর পৌর শহরের উকিলপাড়া এলাকার কেএইচ শাকিল আহম্মেদের মেয়ে সাগরিকা আক্তার (জান্নাত) (২৫) এবং তার বান্ধবী ডাসার উপজেলার বালিগ্রাম এলাকার ইয়াদ আলী মাতুব্বরের স্ত্রী পারুল আক্তার (রুপা) (২৭)। পুলিশ ও স্থানীয়রা সূত্রে জানায়, এ বছরের পহেলা অক্টোবর কলেজ রোড এলাকায় লুৎফর রহমান মোল্লার বাড়িতে মা পান্না বেগম, মেয়ে সাগরিকা আক্তার জান্নাত ও মামা বাবু মিয়া সহ তিন জনে ওই বাসায় ভাড়া নিয়ে ওঠেন। শনিবার রাতে বাসায় আসে অপরিচিত আরও ৩ থেকে ৪ নারী।
পরে রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে হঠাৎ চিৎকার চেচামেচি শুনে রুমে ছুটে যান বাসার কেয়ারটেকার হেলাল সরদার। এ সময় ফ্লোরে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন সাগরিকা আক্তার জান্নাতকে। এছাড়া অসুস্থ্য অবস্থায় সাগরিকার বান্ধবী পারুল আক্তার রুপা (২৫) ও সাগরিকার মা পান্না আক্তার (৪০), মামা বাবু মন্ডল (৩৬) অপরিচিত ডালিয়া বেগম (৪২) কে উদ্ধার করে মাদারীপুর জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পারুল আক্তার রুপাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। সাগরিকার মামা বাবু বলেন, আমার ভাগ্নি কোথায় থেকে মদ নিয়ে এসে আমাকে খাওয়ার জন্য জোরাজুরি করে। পরে বাধ্য হয়ে ভাগ্নির মন রক্ষায় আমিও মদপান করি। পরে আমার আর কিছু মনে নেই। চোখ মেলে দেখি আমি হাসপাতালে। পরে জানতে পারি ওই মদ খেয়ে আমার ভাগ্নি আর তার বান্ধবী মারা গেছে। আমি এর বেশি জানি না।
স্থানীয় ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এনায়েত হোসেন মৃধা বলেন, সকালে চিল্লাপাল্লায় লুৎফর মোল্লার বাড়িতে এসে শুনি মদ খেয়ে দুইজন মেয়ে মারা গেছে। বাকিরা হাসপাতালে ভর্তি। কিছু দিন আগে এই বাসায় ভাড়া উঠেছে পান্না বেগম নামে এক নারী। তারা তিনজন বাড়িতে থাকতো। মাঝে মাঝে কিছু লোকজনও আসা-যাওয়া করতো এই বাসায়। স বাসার কেয়ারটেকার মোঃ হেলাল সরদার বলেন, নাজিমউদ্দিন কলেজের দেলোয়ার স্যার আমাকে রাত আনুমানি ২.৩০টা বাজে ফোন করে বলে ৪তালায় কেউ অসুস্থ তাকে হসপিটালে নেওয়া লাগবে তখন আমি গেট খুলে উপরে উঠে ওই অবস্থা দেখি এবং তাদের চার জনকে অসুস্থ অবস্থায় হসপিটালে নিয়ে জাই পরে চিৎিসক পারুল নামের তরুণীকে মিলিত ঘোষণা করেন। এবং ওই অসুস্থ তিনজনকে সদর হাসপাতালে ভর্তি রাখেন।
এ ব্যাপারে মাদারীপুর সদর মডেল থানার ওসি মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন নির মধ্যে একজন ফ্লাটে মারা গেছে অন্য একজন হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায় ধারণা করা হচ্ছে তারা দুইজনেই অতিরিক্ত মদ পান করেছে এর কারণ তাদের মৃত্যু হতে পারে এবং তাদের ফ্ল্যাটে বিভিন্ন ধরনের নেশা দ্রব্য আলামত পাওয়া গেছে,সঠিক তদন্তের মাধ্যমে তাদের প্রতি আইনানব ব্যবস্থা নেওয়া হবে।