নাসির উদ্দিন নাহিদ তালুকদার জেলা প্রতিনিধি
মাদারীপুরে কলেজ রোড এলাকায় অতিরিক্ত মদ্ পান করায় ২ তরুনীর মৃত্যু হয়েছে ,অসুস্থ অবস্থায় আরো ৩ জন মাদারীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দিন আছে ।শনিবার রাত আড়াইটার দিকে মাদারীপুর পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের মাদারীপুর সরকারি কলেজের পিছনে কলেজ রোড এলাকায় ঢাকা উত্তরার ভূমি অফিসের কর্মরত তোশিলদার লুৎফর রহমান এর ৫ তলা বাড়ির চার তলায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত তরুণীরা হলেন শহরের উকিলপাড়ার এলাকার কে এইচ শাকিল আহমেদের মেয়ে সাগরিকা আহমেদ ২৫,ও তার বান্ধবী পারুল আক্তার ২৭ ,পারুলের বাড়ি ডাসার উপজেলার বালিগ্রাম ইউনিয়নের ইয়াদআলীর মাতুব্বারের স্ত্রী। এছাড়া এত পারুলের মা ডালিয়া ও সাগরিকার মা পান্না বেগম ও মামা বাবু মিয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায় রাতে হঠাৎ চিৎকার চেঁচামেচি শুনে রুমে ছুটে যান বাসার কেয়ারটেকার হেলাল সরদার, মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন সাগরিকা নামে এক তরুণীর লাশ এছাড়া অসুস্থ অবস্থায় সাগরিকার এক বান্ধবী মা সাবিনা ইয়াসমিন সহ চারজনকে উদ্ধার করে মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পারুল নামের আর এক তরুণী কে মৃত ঘোষণা করেন মৃত দুইজন সম্পর্কে বান্ধবী।তবে প্রাথমিক ধারণা হচ্ছে তাদের অতিরিক্ত মদপানে এ মৃত্যু ঘটে ,স্থানীয় সূত্রে জানিয়েছে পহেলা অক্টোবর মা-মেয়ে ও মামা সহ এই তিনজন ওই বাসা ভাড়া উঠেন ,শনিবার রাতে বাসায় আসে অপরিচিত আরো তিনজন নারী , তারা ওই বাসায় গভীর রাত পর্যন্ত উশৃংখল পরিবেশে মদ পানে ও বিভিন্ন নেশাদ্রব্য নিয়ে আনন্দ উল্লাস করেন।
পরে ঘটে এই ঘটনা এরপর অপরিচিতদের আর কোন হদিস পাওয়া যায় না, পরে সকালে ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছেন মাদারীপুর সদর থানার পুলিশ।বাসার কেয়ারটেকার হেলাল সরদার বলেন রাতে আড়াইটার দিকে চিৎকার চেঁচামেচি শুনে চার তলায় ফ্লাটে গিয়ে দেখি ফ্লোরে একজন তরুণী মৃত অবস্থায় পড়ে আছে।
বাকি আরো চারজন গুরুতর অবস্থায় ছটফট করতেছে, পরে পরিস্থিতি খারাপ দেখে পুলিশকে খবর দেই ,ও বাকিদের কে হাসপাতালে নিয়ে যাই ,মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন দুই তরুনীর মধ্যে একজন ফ্ল্যাটে মারা গেছে অন্য একজন হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায়, ধারণা করা হচ্ছে তারা দুজনেই প্রচন্ড মদ পান করেছে এ কারণে তাদের মৃত্যু হতে পারে, তাদের ফ্ল্যাটের বিভিন্ন ধরনের নেশা জাতীয় দ্রব্যর আলামত পাওয়া গেছ, সঠিক তদন্ত করে এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।