মোঃ খান সাহেল নেত্রকোনা প্রতিনিধি
বিশ্বাসসহ অনেক কবি সাহিত্যিক১৯৬৯ সাল পর্যন্ত পত্রিকাটি চালু ছিল। কোমলমতি শিশু কিশোরদের বই পড়ার অভ্যাস এবং আলোকিত মানুষ গড়ে তুলার লক্ষ্যে তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় গড় তুলেন নেত্রকোনা সাধারণ গ্রন্থাগার।
সেই গ্রন্থাগারের সাধারণ সম্পাদক থাকা কালে ‘সৃজনী’ নামে আরেকটি সাহিত্য পত্রিকা সম্পাদনা করতেন। তার লেখা ও প্রকাশিত ডজন খানেক বইয়ের মধ্যে ‘রক্তাত্ত অধ্যায়’, ‘একটি আত্মার অপমৃত্যু’, ‘এ মাটি রক্তে রাঙ্গা’, এবং শতাব্দীর দুই দিগন্ত উল্লেখযোগ্য। তিনি বিখ্যাত ‘মরু সাহারা, ‘বাহার-ই-স্তান-ই-গায়েবী’ ও ‘ওরসে কারবালা’, ‘বেদুইনের মেয়ে’ নামের অনুবাধক।
বাংলা সাহিত্যে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলা একাডেমী ১৯৮৩ সালে তাকে বাংলা একাডেমী পুরস্কারে এবং ২০১৮ সালে ২১ পদকে ভূষিত করে। ১৯৮৫ সালের ১৬ অক্টোবর এই কৃতি সাহিত্যিক ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বার্ধক্য জনিত কারণে ইন্তেকাল করেন।
সৃজনশীল সাহিত্য চর্চার বিকাশ এবং কথা সাহিত্যিক খালেকদাদ চৌধুরী সাহিত্যকর্ম নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতেই নেত্রকোনা সাহিত্য সমাজ ১৪০৩ সাল থেকে পহেলা ফাল্গুন বসন্তকালীন সাহিত্য উৎসব ও খালেকদাদ চৌধুরী সাহিত্য পুরস্কার প্রদান করে আসছে। ইতিমধ্যে দেশ বরেণ্য অনেক কবি সাহিত্যিকরা এই পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
খালেকদাদ চৌধুরী ৩৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে নেত্রকোনা সাধারণ গ্রন্থাগারের উদ্যোগে সকাল ১০টায় কবির সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও কবর জিয়ারত, বাদ আছর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে মিলাদ মাহফিল, সন্ধ্যা ৬টায় নেত্রকোনা সাধারণ গ্রন্থাগার মিলনায়তনে বর্ণাঢ্য জীবন ও কর্ম সম্পর্কে আলোচনা ও স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও মরহুমের পরিবারের পক্ষ থেকে মোক্তারপাড়াস্থ বাসভবনে কোরান খানি, দোয়া মাহফিল ও কাঙ্গালী ভোজের আয়োজন করা হয়েছে।