আন্তর্জাতিক ডেস্ক
গাজার সীমান্তে জড়ো হচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা। তাদের সঙ্গে আছে শত শত ট্যাংক। গাজায় স্থল, বিমান ও নৌ হামলার পরিকল্পনা করছে ইসরায়েল। তারা এবার অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দাদের নিরাপদে দক্ষিণাঞ্চলের দিকে সরে যাওয়ার জন্য মাত্র তিন ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়েছে।
শনিবার (১৪ অক্টোবর) একটি বিবৃতিতে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, জল, স্থল ও আকাশ এই তিন দিক দিয়েই হামলা চালানোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, গাজায় হামলার পরবর্তী ধাপ শুরু হতে যাচ্ছে।
এর আগে, ১৩ অক্টোবর সকালে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গাজা শহর থেকে সব বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপদে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয় ইসরায়েল। তবে বাসিন্দারা বাড়িঘর ছেড়ে যেতে অস্বীকৃতি জানান।
এ বিষয়ে হামাস জানায়, তারা শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে হলেও লড়াই চালিয়ে যাবে। হামাসের রাজনৈতিক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ব্যুরোর প্রধান বাসেম নাইম বলেন, আমাদের কাছে দুটি বিকল্প আছে। হয় এই দখলদারিত্বকে পরাস্ত করব, নতুবা বাড়িতেই প্রাণ দেব। আমরা গাজা ছেড়ে কোথাও যাচ্ছি না।
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় হামাস। এই হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন এক হাজার ৩০০ জন। এ ঘটনায় ইসরায়েলের ১৫০ জন নাগরিককে বন্দি করেছে হামাস। তাদের গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এর জবাবে গাজার শাসক গোষ্ঠীটিকে ‘মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার’ প্রতিজ্ঞা করে পাল্টা অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। চলমান সংঘাতে গাজায় ছয় হাজার বোমা নিক্ষেপ করেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হামলায় ইতোমধ্যে গাজায় দুই হাজার ৩০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।