মো. মোরসালিন ইসলাম দিনাজপুর প্রতিনিধি
৭ডিসেম্বর(বৃহস্পতিবার) সকালে পার্বতীপুর বালিকা বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক মাহমুদুর রহমানের উদ্যোগে দিনব্যাপী পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।শিক্ষার্থীদেরকে দেশের ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচয় করে দিতেই বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই আয়োজন করে।
দেশি বাহারি পিঠা প্রদর্শনীর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দেশীয় সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করানো হয়। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পৃথক-পৃথক বুথে নানা রকম পিঠাপুলির পসরা সাজিয়ে রাখা আছে।এর মধ্যে কিছু পিঠা একেবারেই নতুন আবার কিছু অতি পরিচিত।এসব পিঠার নামও বেশ বাহারি।শিক্ষার্থী ও অতিথিরা ঘুরে-ঘুরে দেখছেন এসব স্টল।জানছেন নতুন-নতুন পিঠা সম্পর্কে।পুরো স্কুল মাঠ রূপ নিয়েছে অনিন্দ্য মিলনমেলায়।
নেচে-গেয়ে, হই-হুল্লোড় করে সকলে দিনটি পার করেন। শিক্ষার্থীদের গান ও নৃত্য পিঠা উৎসবে আসা অথিতিদের মুগ্ধ করে। পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন পৌর মেয়র আমজাদ হোসেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আমিরুল মোমেনিন মোমিন ও রুকশানা বারী রুকু,মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল হাসনাত খান,পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোশারফ হোসেন সমাজ,বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রজব আলী সহ বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সংবাদকর্মীবৃন্দ।
পিঠা উৎসবের উদ্বোধন শেষে পার্বতীপুর পৌর মেয়র বলেন,পিঠা খাওয়ার দাওয়াতের প্রচলন এদেশের গ্রাম্য সংস্কৃতির অংশ।শীতের সকালে এক বাড়িতে পিঠা বানিয়ে পাড়ার মানুষকে খাওয়ানো এখনো গ্রাম্য রীতি।আত্মীয়-স্বজনকে দাওয়াত দিয়ে কিংবা জামাই আপ্যায়নে পিঠার বেশ কদর রয়েছে আমাদের দেশে। মোশারফ হোসেন সমাজ বলেন, মা-ভাবী কিংবা বোনদের হাতে বানানো পিঠার স্বাদ যেমনটা মধুর,তেমনি মধু মাখা তাদের হাসি মানুষের মাঝে প্রাণের সঞ্চার ঘটায়।আনন্দে উদ্ভাসিত হয় মন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহমুদুর রহমান বলেন, এই উৎসব পার্বতীপুরে একটি ব্যতিক্রম ঘটনা।আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের সংস্কৃতির অংশ সম্পর্কে জানাতে এ পিঠা উৎসবের আয়োজন করেছি। প্রতি বছর এ উৎসব চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তিনি। স্কুলটির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রজব আলী বলেন, এত লোকের সমাগম হবে ভাবতেই পারিনি।এই আয়োজনে আমাদের বিদ্যালয়টি মিলনমেলায় রূপ নিয়েছে।
আগামীতে আরও বড় পরিসরে ব্যতিক্রমী এই আয়োজনের উদ্যোগ নেয়া হবে। উৎসবে জানা-অজানা পিঠা সম্পর্কে জানতে পেরে এবং স্বাদ গ্রহণ করতে পেরে খুশি অতিথি, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা।পিঠা উৎসবে আনন্দে মেতে থাকা দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী বলেন,এই প্রথম আমাদের এই বিদ্যালয়ে এরকম আয়োজন করা হয়েছে।এখানে এসে আমরা অনেক আনন্দ পাচ্ছি।অনেক রকম পিঠা খেতে পারছি।আমাদের অনেক ভালো লাগছে।