ডেস্ক রিপোর্ট
বিএনপির জ্বালাও-পোড়াও প্রতিরোধে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে দেশের মানুষকে প্রতিরোধ করতে এগিয়ে আসতে হবে। ওদের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড আর চলতে দেয়া যায় না। নিজেদের হরতাল-অবরোধে নিজেরাই অবরুদ্ধ হয়ে যায় তারা।
রোববার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, খুনি অগ্নি-সন্ত্রাসীদের কেউ ভোট দেবে না, তাই বিএনপি ভোটে যেতে চায় না। অবৈধ ক্ষমতা দখল করেই তাদের (বিএনপি) জন্ম। তাদের মানুষ বিশ্বাস করবে কিভাবে। মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন না করে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করে তারা।
তিনি বলেন, বিএনপি হরতাল-অবরোধ ডাকে, আর মানুষ পুড়িয়ে মারে। আন্দোলনের নামে কেন মানুষ পোড়ায় ও মৃত্যুর ফাঁদ তৈরি করে? মানুষকে তাদের এই প্রশ্ন করা উচিত।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় আমেরিকা সরকার পাকিস্তানকে সহযোগিতা করলেও মার্কিন জনগণ বাংলাদেশের মুক্তিকামী জনগণের পাশে ছিল। সোভিয়েত রাশিয়া থেকে শুরু করে অন্যান্য ইউরোপিয়ান দেশগুলোও আমাদের সমর্থন করে। সবার সমর্থন নিয়ে আমরা মুক্তিযুদ্ধ চালিয়ে যাই।
তিনি বলেন, বাঙালি জাতি বীরের জাতি। ৭ই মার্চের ভাষণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বলেছিলেন- এ বাঙালিকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না। কেউ দাবায়ে রাখতে পারে নাই, ভবিষ্যতেও পারবে না। এবারের বিজয় দিবসে সারা বাংলাদেশের মানুষ অত্যন্ত আনন্দের সাথে অংশগ্রহণ করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের পাশে ছিল মিত্র বাহিনী, মিত্র বাহিনীর শক্তি ভারত। ভারতের জনগণ, ভারতের তৎকালীন সরকার, বিশেষ করে ইন্দিরা গান্ধী এবং ভারতের সব রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই বাংলাদেশকে সমর্থন দেয়। ভারতের এমন কোনো দল ছিল না যে, আমাদের সমর্থন দেয়নি। এই মিত্র শক্তির সাথে সাথে আরও অন্যান্য দেশেরও সমর্থন পাই।