মো. মোরসালিন ইসলাম দিনাজপুর প্রতিনিধি
দিনাজপুর সদরে কোতয়ালী থানার এলাকায় গত ১২. ১২. ২৩ তারিখে রাতে ১০ :২৫ মিনিটে পৌরসভাস্থ শেরশাহ মোড় বটতলী নামক স্থানে পাকা রাস্তার পশ্চিম পার্শ্বে স্ক্রাব হিসেবে ব্যবহারের জন্য পার্ক করে রাখা একটি পরিত্যক্ত কাভার্ড ভ্যানের কেবিনে চলমান বিএনপি’র ডাকা হরতাল ও অবরোধ কর্মসূচি সমর্থনকারী বিএনপি’র দুষ্কৃতিকারীরা আগুন লাগিয়ে পালিয়ে যায়। যাহার রেজি নং-ঢাকা-মেট্রো-ন-১৪-৬৪৯৭।
উক্ত গাড়ীতে আগুন দেখতে পেয়ে স্থানীয় ও পথচারী লোকজন আগুন নিভিয়ে ফেলে। উক্ত সংবাদ পাওয়া মাত্রই কোতয়ালী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আইনগত প্রক্রিয়া শুরু করে। এই সংক্রান্তে দিনাজপুর কোতয়ালী থানার এসআই(নিঃ) মোঃ আমানউল্লাহ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা বিএনপি’র অবরোধের সমর্থনকারী দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করিলে কোতয়ালী থানার মামলা নং-৪৪/৯২০, তাং-১৩/১২/২০২৩খ্রিঃ, ধারা-১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন এর ১৫(৩)/২৫(ডি) রুজু করা হয়। ঘটনার পরপরই দিনাজপুর জেলার সম্মানিত পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ, পিপিএম নির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্), (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত), আব্দুল্লাহ আল মাসুম এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল), শেখ মোঃ জিন্নাহ আল মামুন এর সমন্বিত পরিকল্পনায় কোতয়ালী থানার একটি চৌকশ দল অভিযান শুরু হয়। গাড়ীতে আগুন দেওয়ার পরপরই বিএনপি’র অবরোধ সমর্থনকারী দুষ্কৃতিকারীরা আত্মগোপনে যায়। অভিযান টিমের সদস্যরা আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে দুষ্কৃতিকারীদের সনাক্ত করতে সক্ষম হয়।
তারই ধারাবাহিকতায় বিএনপি’র অবরোধ সমর্থনকারী দুষ্কৃতিকারী মোঃ কোরবান আলী(১৯), পিতা-মোঃ দসিজল ইসলাম, সাং-বটতলী, সদর পৌরসভা, থানা-কোতয়ালী, জেলা-দিনাজপুরকে ১৭.১২.২৩ তারিখে ৪:৩০ মিনিটে আসামিকে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃত দুষ্কৃতিকারীকে ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, ঘটনার তারিখ রাত্রে সে সহ রায়হান, নির্ঝর, মাহাবুব, বিপ্লব বিএনপি’র অবরোধের সমর্থনকারী দুষ্কৃতিকারী দিনাজপুর পৌরসভাস্থ শেরশাহ বটতলী মোড়ে একত্রিত হয়ে ০২(দুই)জন দুষ্কৃতিকারী একটি দোকান থেকে বোতলে কেরোসিন তেল কিনে এনে গাড়ীর কেবিনে কেরোসিন তেল ছিটিয়ে দেয় এবং আগুন লাগিয়ে ছবি তোলে। গাড়ীতে আগুন লাগিয়ে তাহারা সকলেই অটোযোগে এবং দৌড়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে চারুবাবুর মোড়ের একটি চায়ের দোকানে চা খায়।
এরপর গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ কোরবান আলীকে ২৫০/- টাকা দেয় এবং আরও টাকা পরবর্তীতে দেয়া হবে বলিয়া সকলে আত্মগোপনে চলে যায়। এছাড়া পৌরসভা, উপজেলা এবং জেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ কেন্দ্রীয় নির্দেশনায় উক্ত নাশকতার অর্থ যোগানসহ পরিকল্পনায় জড়িত রয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। ঘটনায় জড়িত পরিকল্পনাকারী ও নির্দেশ দাতাসহ সকল দুষ্কৃতকারীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।