স্টাফ রিপোর্টার:
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাগভান্ডার বিজিবি ক্যাম্পের উত্তর পাশে এই ঘটনা ঘটে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায় সদর ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ জয়নাল আবেদীন জুয়েল সদর ইউনিয়নের দায়িত্ব পালনকালে অত্র থানাধীন বাগভান্ডার বিওপি ক্যাম্পের উত্তর পাশে আমজাদ হোসেনের বাড়ির সামনে কাঁচা রাস্তার উপরে একটি অটো রিক্সা বাংলাদেশ হইতে ভারতীয় সীমান্তের দিকে যাইতেছিল।
পরে অটো রিক্সাটি থামার সংকেত দিলে শাহাবুদ্দিন সহ অজ্ঞাতনামা তিন থেকে চার জন ব্যক্তি অটো রিক্সা ফেলে পালিয়ে যায়। ঘটনাটি ১৮ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক ১১.৩০ মিনিটে। পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাক্ষী গনের মোকাবেলায় অটো রিক্সা সহ ১২ বস্তা সুপারি আটক করে গ্রাম পুলিশ জুয়েল।
পরবর্তী থানা পুলিশকে সংবাদ দিলে এসআই শাহিন আলম মামুন এর নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়ে সাক্ষীদের সম্মুখে রাত ২:২৫ মিনিটে ১২ বস্তা সুপারি জব্দ করে। সুপারির প্রতি বস্তার ওজন ৬০ কেজি ও সর্বমোট ওজন ৭২০ কেজি বা ১৮ মন যার বাজার মূল্য প্রায় ৩ লক্ষ টাকা।
জয়নাল আবেদীন জুয়েল গ্রাম পুলিশ এজাহারে আরো বলেন আসামি শাহাবুদ্দিনসহ অজ্ঞাতনামা ৩-৪ জন ব্যক্তি বাংলাদেশি সুপারি শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ভারতে নিয়ে যাইতেছিল আমি ভুরুঙ্গামারী থানা পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা করিয়া ব্যর্থ হলে থানা গিয়ে মামলা করি।
গণমাধ্যম কর্মী প্রথম খবর, দৈনিক সূর্যোদয়,তালাশ টাইমস্ ভূরুঙ্গামারী প্রতিনিধি আব্দুর রাজ্জাক কাজল সুপারি আটকের বিষয়টি খবর পেয়ে ভূরুঙ্গামারী থানা পুলিশকে অবহিত করে ঘটনা স্থলে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ ও ভিডিও ফুটেস নেয়।নিয়ে বের হওয়ার সময় প্রতিমধ্যে সুপারি পাচারের সেন্টি কেটের ভূরুঙ্গামারী বাজার পাড়া খোকন,মোশাররফসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজন গতিরোধ করে গণমাধ্যম কর্মীর উপর আক্রমণ করে বলে কেনো ভিডিও করা হলো ভিডিও ডিলেট করতে হবে।
আক্রমণের এক পর্যায়ে গণমাধ্যম কর্মীর মোবাইল ভেঙ্গে ফেলে। ঘটনার সময় গণমাধ্যম কর্মী আব্দুর রাজ্জাকের হাত ছিলা ফোলা করে আক্রমণ কারীরা।ঘটনার সময় সাংবাদিকের কাছে পকেটে থাকা কিছু টাকা সে সময় কে বা কহারা নিয়ে নেয়। গ্রাম পুলিশ জুয়েল গণমাধ্যম কর্মীকে বলেন আমি সুপারি আটক করায় অজ্ঞাতনামা কয়েকজন প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে আমাকে। ভূরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ রুহুল আমীন বলেন সুপারি জব্দ করে মামলা নেওয়া হয়েছে।