ইমাম হাসান (সোহান) টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি
টাঙ্গাইলে বেড়েছে শীতের প্রকোপ।গত তিন চার দিন যাবৎ টাঙ্গাইল জেলার সর্বত্র শীতের প্রকোপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। টাঙ্গাইলের আকাশে সূর্যের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। সাথে উত্তর দিক হতে রাত দিন ঠাণ্ডা বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে। মানুষ ঘরের বাইরে প্রয়োজন ছাড়া বের হচ্ছে না।
এদিকে প্রচন্ড শীতের প্রভাবে টাঙ্গাইলের মানুষের জীবনযাত্রার চরম বিঘ্ন ঘটছে। গরীব অসহায় মানুষ শীতবস্ত্রের অভাবে কষ্ট পোহাচ্ছে। তাই শীতের তাণ্ডবে গরিব অসহায় মানুষের বেহাল অবস্থা পারছেনা গরিব অসহায় মানুষ ঘরের বাইরে যেতে,পারছেনা শ্রমিকরা কৃষি কাজ করতে কৃষকরা পাচ্ছে না নিয়মিত কৃষি কাজ করার জন্য দিনমজুর।
এদিকে শীতের কারণে বেড়ে যাচ্ছে শীত জনিত নানা রকম যেমন জ্বর সর্দি কাশ ছোট ছোট বাচ্চাদের নিউমনিয়া বমি এবং নিরীহ অসহায় মানুষ শীত কাটাচ্ছে খড় খুড়ি দিয়ে আগুনের তাপে শরীর গরম করে নিচ্ছে। ওদিকে শীতের কারণে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে কৃষকের কৃষি আবাদ যেমন আলু ভুট্টা সরিষা পিয়াজ হাইব্রিড ও মরিচ এরকম আরো বিভিন্ন ধরনের কৃষি আবাদ । শীতের কারণে কষ্টে দিন কাটছে অনেক অসহায় হতদরিদ্র মানুষ পারছেনা ঠিকমতো কর্ম করতে পারছে না ভ্যান ও রিক্সা চালাতে পারছেনা ঠিকমত সংসারের খরচা চালাতে পারছে না।
শীতের কারণে বেহাল অবস্থা টাঙ্গাইল জেলার গরীব অসহায় মানুষের এদিকে অন্য বারের মত গরিব অসহায় মানুষ শীতের কাপড় ও শীত বস্ত্র এখনো পাইনি। কুয়াশা কিছুটা কম হলেও কিন্তু শীত অনেকটাই বেশি উত্তর পাশের হিমেল হাওয়া বইয়ে যাচ্ছে সব সময় তাই ঠান্ডা একটু বেশি । এভাবে আর কিছুদিন চলতে থাকলে টাঙ্গাইল সহ সারা দেশের মানুষ চরম অবস্থায় পড়ে যাবে।
চিকিৎসকরা এই শীতে শিশু এবং বৃদ্ধ মানুষদের ঘরের বাইরে যেতে নিষেধ করেছেন। ঘরের ভেতর পর্যাপ্ত তাপের ব্যবস্হা এবং গরম কাপড় পড়ে থাকতে পারলে মঙ্গল। গরম পানি পান করতে হবে সকল বয়সীদের। সবাইকে সচেতন থেকে এই শীত মৌসুমে চলার পরামর্শ দেন।
ধনবাড়ী উপজেলার চারিশিমুল থেকে হারুন তালুকদার জানান গ্রামের জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে সেখানকার মানুষের। এই অবস্থা আর কিছু দিন চলতে থাকলে মানুষের কষ্টের সীমা অতিক্রম করতে পারে। কিছু কিছু মানুষ কাঠ পুড়িয়ে আগুনে শরীর গরম করতে পারলেও সবার পক্ষে তা সম্ভব হচ্ছে না।