মোঃ মজিবর রহমান শেখ,
হিমালয়ের কাছাকাছি অবস্থিত ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল, বালিয়াডাঙ্গী, হরিপুর, পীরগঞ্জ, ঠাকুরগাঁও সদর, এই ৫ টি উপজেলায় গত কয়েক দিন ধরে ঘন কুয়াশার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শীত।
ঘন কুয়াশার পাশাপাশি হিমেল হাওয়ার ছোবলে স্বাভাবিক চলাফেরায় বেশ দায় হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের । সোমবার (১৫ জানুয়ারি) ঠাকুরগাঁও জেলার
সমগ্র উপজেলায় এমন চিত্র দেখা গেছে
তাপ মাত্রা নেমে এসেছে ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। যা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হিসাবে রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর ।
সর্বস্তরে স্মৃতিসৌধ বাস্তবায়ন আন্দোলন তার পরও দিনের একটা বড় অংশ ঢাকা থাকছে ঘন কুয়াশায়। এমন অবস্থা বিরাজ করায় বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। এ রকম বৈরি আবহাওয়ায় দিনে আনে দিনে খাওয়া মানুষেরা গরম কাপড়ের অভাবে কাজের সন্ধানে বের হতে পারেনা। নিদারুণ কষ্টে চলছে তাদের জীবন। একই সাথে মৃদু শৈত্যপ্রবাহে অসহায় হয়ে পড়েছে ছিন্নমূল শীতার্ত মানুষেরা। বিভিন্ন শীত জনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে বৃদ্ধ ও শিশুরা। সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে কুয়াশার চাদরে ঢেকে যায় সমস্ত রাস্তা- ঘাট। এর ফলে চলাচলে অসুবিধায় ভোগে বিভিন্ন যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা। রাস্তায় চলাচল করতে গেলে গাড়ির আলো থাকা সত্বেও ৩-৪ ফিট সামনে কিছুই দেখা যায় না।
বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে হিমশিম খেতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। এই শীত ও ঘন কুয়াশার কবল থেকে রেহাই পাইনি ধানের বীজতলা, বিভিন্ন জাতের রবি শস্য ও সবজির ক্ষেত। এমন আবহাওয়া আরো কয়েকদিন চলমান থাকলে চরম ভোগান্তির মোকাবেলা করে টিকে থাকতে প্রচন্ড বেকায়দায় পড়তে হবে ঠাকুরগাঁও জেলা বাসীকে।