ডেস্ক রিপোর্ট
রাজধানীর পল্টন মডেল থানায় করা নাশকতার আরেক মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জামিন দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া দুই মামলায় জামির পেয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। পৃথক দুই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা হক বুধবার শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা হকের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
আদালতে পল্টন থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) শাহ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে আরও বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। সবগুলো মামলায় জামিন হওয়ার আগ পর্যন্ত তাদের মুক্তি মিলছে না।
এর আগে, গত ১৪ ডিসেম্বর মামলাটিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দেখনোসহ ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক সুমিত কুমার। পরবর্তী সময়ে গত ১৮ ডিসেম্বর আসামিদের উপস্থিতিতে এই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পাশাপাশি রিমান্ড নামঞ্জুর করে দুইদিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন আদালত।
উল্লেখ্য, গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ চলাকালে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষ চলাকালে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলাগুলোর মধ্যে মির্জা ফখরুল ১১ মামলার আসামি। যার মধ্যে ৯ মামলায় গত ১০ জানুয়ারি তার জামিন মঞ্জুর করেন সিএমএম আদালত। একইদিন প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় মির্জা ফখরুলের জামিন নামঞ্জুর করেন হাইকোর্ট।
অন্যদিকে গত ২৮ অক্টোবরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমীর খসরুর বিরুদ্ধে ১০টি মামলা হয়। গত ২ নভেম্বর রাত ১টার দিকে গুলশানের একটি বাসা থেকে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে আটক করে ডিবি। পরদিন ৩ নভেম্বর সমাবেশ চলাকালীন সংঘর্ষে পুলিশ সদস্য নিহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে তাকে ছয়দিনের রিমান্ড শেষে ৯ নভেম্বর কারাগারে পাঠানো হয়।