মোঃ আজিজুল ইসলাম, নিজস্ব প্রতিবেদক
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বাগবাটী ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল। জননন্দিত জননেতা সাবেক সফল মন্ত্রী প্রয়াত আলহাজ্ব মোহাম্মদ নাসিম সাহেব এই এলাকা বাসীর কথা চিন্তা করে গরিব অসহায় মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাগবাটী ৩১ সয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল নির্মান করেন। স্থানীয় এলাকা বাসী ও রোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় পুরো হাসপাতালের ফ্লোরে ও বেডের আশ পাশ দিয়ে ময়লা আবর্জনা স্তপ হয়ে আছে। এই হাসপাতালে বিভিন্ন এলাকার মানুষ প্রতিদিন ছুটে আসেন ভালো সেবা পেয়ে সুুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার আশায়। কিন্তু স্বাস্থ্যসেবা নিতে আসা রোগীরা আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন এই হাসপাতালে এলে। শুধু রোগীই না, হাসপাতালের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রোগীর স্বজনরাও অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে অভিযোগ তাদের।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের সাথে কথা বললে তারা বলেন, বেশ কয়েক দিন যাবৎ হাসপতালের ফ্লোর ও বেডের আশে পাশে বিভিন্ন ময়লা আবর্জনায় ভরে আছে, গন্ধে এখানে থাকা কষ্ট দায়ক হয়ে পড়েছে, হাসপাতাল কতৃপক্ষকে বার বার বলা সত্বেও তারা পরিষ্কার করছে না এখানে আমরা খুব সমস্যায় আছি।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, স্বাস্থ্যসেবার মান এবং হাসপাতালের পরিবেশের কোনোরূপ পরিবর্তন হয়নি। বরং দিন দিন ময়লা, নোংরা, দুর্গন্ধ ও আবর্জনায় অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে হাসপাতালের পরিবেশ। রোগীকে যে সব ওষুধপত্র দেওয়া হয় সেগুলোও ফেলে রাখা হয় নোংরা ও ময়লা জায়গায়। রোগীদের দেওয়া বালিশ-কম্বল সমস্ত জিনিস চরম অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা। একজন রোগীর ব্যবহৃত মলমূত্র লাগানো অথবা বমি করা বেডে বাধ্য হয়ে অন্য রোগীকে থাকতে হয়।
দেখা যায় হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী সহ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার জন্য এসে ভর্তি হয়ে আছেন সুস্থ হওয়ার আশায়। কিন্তুু হাসপাতালে এই পরিবেশে রোগীরা আরও অসুস্থ্য হচ্ছেন, এমনকি ডেঙ্গু মশার ভয়ানক থাবায় আক্রান্ত হওয়ার আসংখায় আছেন রোগীরা। এলাকা বাসীর দাবী হাসপাতাল কতৃপক্ষের সঠিক তদারকির অভাবেই এই অসহনীয় অবস্থা, হাসপাতাল তো নয়, এ যেন ডেঙ্গু মশার বাসস্থান-দেখার কেউ নেই বলে জানান স্থানীয় এলাকা বাসী। তাই হাসপাতাল পরিষ্কার পরিছন্নতার পাশাপাশি সঠিক স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার জন্য উর্ধতন কতৃপক্ষের স্বু দৃষ্টি কামনা করছেন এলাকা বাসী।
উক্ত বিষয়ে কথা বলার জন্য বাগবাটী ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের আরএমও ডাঃ আরিফুল ইসলাম মিঠুনের সাথে মুঠোফোনে বার বার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ জাহিদুল ইসলাম হিরার সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি জানান, পর্যাপ্ত পরিমাণ লোকবল না থাকার কারনে এসমস্ত সমস্যা হচ্ছে।
সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন ডাঃ রামপদ রায় এর সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সাথে কথা বলে বিষয়টা আমি দেখবো।