মিথ্যা সংবাদ্ প্রকাশ, ভুয়া পিটিশন দিয়ে হয়রফাঁসিয়ে সামাজিকভাবে ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার বলধারা সফুর ব্রিকস কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুর ২টায় সফুর ব্রিকস চত্ত্বরে এলাকাবাসির ব্যানারে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ভাটা মালিক জলিল কোম্পানীর ছেলে মো. মিজানুর রহমান বলেন, তাদের পরিবারের কেউ আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত না হওয়া সত্বেও তার বাবাকে দুটি রাজনৈতিক মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।
দুটি ইট ভাটার সমস্ত বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্বেও স্থানীয় আসলাম ও ফরিদ বিভিন্ন দপ্তরে পিটিশন দিয়ে হয়রানি করছে। সেই সঙ্গে কিছু কতিপয় গণমাধ্যম কর্মীকে ভুল তথ্য দিয়ে সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে ভাবমূর্তি নষ্ট করছেন। লিখিত বক্তব্যে মিজানুর রহমান আরো বলেন, স্থানীয় ফরিদ তার আপন মামাতো ভাই।
তার কাছে ৯৮ হাজার ইট বিক্রির টাকা চাইতে গিয়ে শত্রুতার সৃষ্টি হয়েছে। অপরদিকে সংবাদকর্মী পরিচয়ে আসলাম হোসেন এলাকায় চাঁদাবাজিসহ জমির কাগজপত্র সৃজন করে জালিয়াতের মাধ্যমে মানুষকে হয়রানি করছে। এক প্রশ্নের জবাবে মিজান বলেন, আসলামের বিরুদ্ধে আমার বাবার দায়ের করা চাঁদাবাজি মামলায় সাজা ভোগ করে।
মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়ার পর পুনরায় একের পর এক মিথ্যা মামলা ও নাম সর্বস্ব পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করে ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। আসলামের ষড়যন্ত্রের মামলা থেকে রেহাই পায়নি বিএনপির দায়িত্বশীল পদে থাকা বলধারার একাধিক ব্যক্তি। সংবাদ সম্মেলনে মিথ্যা মামলার শিকার ভূক্তভোগী আলাউদ্দিন (৬০), মোক্তার (৪৭), হাসমত আলী (৪৫), মোস্তফা (৪৮) ও আনোয়ার হোসেনসহ (৭০) অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মো জুসন আলী, আব্দুল মোতালেবসহ শতাধিক লোকজন।
এ ব্যাপারে আসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে ইট ভাটা মালিক জলিল কোম্পানী মিথ্যা মামলা দিয়েছিল। আমি সে মামলা থেকে খালাস পেয়েছি। অপরদিকে, মো. ফরিদ হোসেন ভাটা মালিকের সাথে আত্মীয়তার কথা স্বীকার করলেও তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেন।