মোঃ মজিবর রহমান শেখ
ঠাকুরগাঁওয়ে চেক ডিজঅনারের মামলার রায় হওয়ার পরেও গ্রেফতার হয়নি আসামী মোস্তাফিজুর রহমান (৩৪)। ৮ নভেম্বর বুধবার বিকেলে পৌর শহরে ঠাকুরগাঁও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের অফিস রুমে সে আসামীকে গ্রেফতারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ভুক্তভোগী নাসরিন জাহান (৫০)। তিনি বলেন, আমার ছোট মেয়ের জন্য মোস্তাফিজুর রহমান রুবেল (৩৪) কে টিউশন শিক্ষক হিসেবে রাখি। যার পিতা- মোঃ মোকলেসার রহমান, ঠিকানা: সাং-বকুলতলা গেট (হাফিজিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন), রংপুর পৌরসভা, থানা ও জেলা- রংপুর। মাঝে মাঝে সে অগ্রিম বেতন নিতো। পরবর্তীতে মাঝেমধ্যে কিছু টাকা ধার চাইতো যেহেতু সে আমার মেয়েকে পড়াচ্ছিল শিক্ষক হিসেবে তাকে ধার দিতাম। পরবর্তীতে সে কোন চাকরির কথা বলে জরুরী প্রয়োজনে পাঁচ লক্ষ টাকা পরিশোধের নিমিত্তে ধার চাইলে আমি তাকে ২০২০ সালে ৫ লক্ষ টাকা নগদ ধার দেই।
ধারের টাকা চাইতে গেলে সে আমাকে রূপালী ব্যাংকের দাউদপুর দিনাজপুর শাখার ৫,০০০০০ (পাঁচ লক্ষ টাকা উল্লেখ করে) ০১/০৮/২০২০ ইং তারিখের একটি চেক দেয়। আমি চেক পেয়ে টাকা তুলার জন্য ব্যাংকে গেলে ব্যাংকের কর্মকর্তারা তার দেওয়া চেকের একাউন্টে কোন টাকা নেই বলে চেকটি ডিজঅনার হয়। তিনি আরো বলেন, পরবর্তীতে আমি তার সাথে অনেক ভাবে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তার কোন হদিস পাইনি। পরবর্তীতে নিরুপায় হয়ে আমি আইনের আশ্রয় নিয়ে ঠাকুরগাঁও বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চেক ডিজঅনারের একটি মামলা দায়ের করি।
যার মামলা নং – সিআর ৬৬৩/২০। মামলা চলাকালীন তাকে পুলিশ আটক করে। আটকের পর তাকে জামিনের মাধ্যমে আবার ছেড়ে দেয়। বিজ্ঞ আদালত আমার অনুকূলে মোস্তাফিজুরকে দোষী সাব্যস্ত করে ৫ লক্ষ টাকা প্রদান সহ জেল জরিমানা করে। এরপর রংপুরে গিয়ে তার সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারি। সে বিভিন্ন জায়গায় এভাবে টাকা ধার নিয়ে মানুষকে ঠকিয়ে আসছে।
আদালত থেকে রায় পাওয়ার পরেও আমি এখন পর্যন্ত আমার টাকা ফেরত পাইনি। আমার স্বামী ২০১৭ সালে মারা গেছে। দুই মেয়ে নিয়ে আমার অভাবের সংসার খুব কঠিনভাবে চলছে। আমি বর্তমানে দিশেহারা। দুই মেয়েকে নিয়ে আমি কি করবো কোথায় যাব ভেবে পাচ্ছি না। পরিশেষে নাসরিন জাহান বলেন, আমি নিরুপায় হয়ে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি। প্রশাসন যেন এই ঠকবাজ, চিটার মোস্তাফিজুরকে দ্রূত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনে এই দাবি জানাচ্ছি।