ঢাকামঙ্গলবার , ৫ মার্চ ২০২৪
  1. অন্যান্য
  2. অভিযোগ
  3. অর্থনীতি
  4. আইন বিচার
  5. আওয়ামী লীগ
  6. আগুন
  7. আটক
  8. আন্তর্জাতিক
  9. আবহাওয়া
  10. আমাদের পরিবার
  11. আরো
  12. আলোচনা সভা
  13. ইতিহাস ও ঐতিহাসিক
  14. ইসলাম
  15. ইসলামী জীবন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

নির্ধারিত সময় শেষ, বাঁধ সংস্কারের কাজ শেষ হয়নি

50
admin
মার্চ ৫, ২০২৪ ১:৪৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

নেত্রকোনা প্রতিনিধি

নেত্রকোনার হাওরাঞ্চলে এক ফসলি বোরো জমির ফসল আগাম বন্যা থেকে রক্ষায় বাঁধের সংস্কার কাজের সময় শেষ হলেও বাঁধ সংস্কার হয়নি। হাওর এলাকার কৃষকরা তাদের বহু কষ্টে উৎপাদিত ফসল নিয়ে শঙ্কার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। হাওরে ফসলরক্ষা বাঁধের সংস্কার কাজ বাস্তবায়ন করছে নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ড।

নির্ধারিত সময় ২৮ ফেব্রুয়ারীর মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হয়নি।

ধীর গতিতে ফসলবাঁধের সংস্কার কাজ হওয়ায় ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের তদারকির অভাবে ফসল হানির শঙ্কায় দিন কাটছে হাওর পাড়ের কৃষকদের। প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থার কর্মকর্তাদের আশ্বাসও কাজে আসেনি। স্থানীয় প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড আশ^স্থ করেছিল ২৮ ফেব্রুয়ারীর মধ্যে ফসলরক্ষা বাঁধের সংস্কার কাজ শেষ হবে।

নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিস সূত্রে জানা যায়, নেত্রকোনার মদন, মোহনগঞ্জ, খালিয়াজুরীসহ সাতটি উপজেলার হাওরাঞ্চলের প্রায় ৪২ হাজার হেক্টর জমির ফসল আগাম বন্যার হাত থেকে রক্ষায় ডুবন্ত বাঁধ রয়েছে ৩৬৫ কিলোমিটার। এর মধ্যে ৩৩ কোটি ৫৬ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ১৮০টি প্রকল্পের মাধ্যমে ১৫ ডিসেম্বর ১৫৫ কিলোমিটার বাঁধের সংস্কার কাজ শুরু হয়। হাওর এলাকার কৃষকদের দাবি ২৮ ফেব্রুয়ারী বাঁধ সংস্কারের কাজ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু সংস্কার কাজ ঢিলেঢালাভাবে করায় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কাজ শেষ হয়নি। কোন কোন স্থানে ফসলরক্ষা বাঁধের সংস্কার কাজ এখনো চলছে। শেষ হতে সময় লাগতে পারে আরও কয়েকদিন।

অনেকগুলো প্রকল্প এলাকার বাঁধগুলোতে কিছু স্থান ফাঁকা রেখে মাটি ফেলা হয়েছে। কোথাও ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশ কাজ শেষ হলেও কোথাও আবার ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। রয়ে গেছে বাঁধের মাটি সমান করা, দুবড়া ও আগাছা লাগানোর কাজ। এমন অবস্থায় কৃষকেরা তাদের ফসল নিয়ে আছেন দুঃশ্চিন্তায়।

সরেজমিনে নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলা সদর ইউনিয়নের মুজিবনগরে মরাগাং, কির্তনখলা, মেন্দিপুর ইউনিয়নের রাজঘাটসহ বিভিন্ন প্রকল্প ঘুরে দেখা গেছে, ভেকু দিয়ে মাটি ভরাটের কাজ চলছে। আবার কোন কোন বাঁধে দুবড়া দেওয়া হচ্ছে। তবে অনেক জায়গা খালি রয়ে গেছে। ওই সমস্ত প্রকল্প এলাকায় সরকারি দপ্তরের কোন লোকজনকে দেখা যায়নি।

খালিয়াজুরীর মুজিবনগর গ্রামের পলাশ বলেন, ‘কাজ এখনও শেষ হয়নি। বাঁধে মাটি কাটা হয়েছে। দুবড়া ও আগাছা লাগানো হয়নি। বৃষ্টি হলেই মাটি দেবে যাবে। ’

জগন্নাথপুর গ্রামের কৃষক মো. আমির উদ্দিন বলেন, ‘আমরার গ্রামের সামনের হাওরে তিন একর জমিতে বোরো ধান লাগাইছি। এই ফসল লইয়া বড়বেশী চিন্তার মধ্যে আছি। আমরার একটাই ফসল। ধান পাকার সময়ডাতেই বান-তুফানের ভয়। আগাম বন্যা আমার চোখের সামনেই ফসল তলায়া নষ্ট কইর‌্যা ফালায়। তহনতো চাইয়া দেহন ছাড়া আর কোন কিছু করার থাকে না। এইবার যে ভাবে কাজ হইছে মনে হয় সময়মত কাজ শেষ হবে না। এখনও মাটি কাটা শেষ হয় নাই। ’

মেন্দিপুর ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের কৃষক সোহাগ মিয়া বলেন, ‘আমাদের দুই গ্রামের মাঝখানে অনেক জমি আছে। ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ চলছে খুব আস্তে। শেষ হইতে আরও মনে হয় ১০- ১৫দিন সময় লাগতে পারে। বৃষ্টি হলেই বাঁধ ভাইঙা যাইতে পারে। বাঁধের কাম শেষ করলেও মাটি শক্ত হইতো না। ঢল আইলে বাঁধ ভাইংগা যাইব। ’

কৃষক জমির মিয়া বলেন, ‘জমিতে ধান চাষ করছি ঋণ কইরা। বাঁধের কাজ ঢিলেমিছি করায় এখনও শেষ হয় নাই। নদীতে আগাম পানি হইলে সব ভাসাইয়া নিয়া যাইব। দ্রুত কাজ শেষ করা দরকার। ফসল বাঁচানোর জন্যে সরকার টাকা দিছে। সরকার ঠিকই খরচ করতাছে আমরার লাইগ্যা। কিন্তু প্রকল্পের লোকজনের ঢিলামির কারণে আমাদের বড় ধরনের ক্ষতি হইতে পারে। ’

নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সারওয়ার জাহান বলেন, প্রাক্কলিত ব্যয়ের মধ্যে প্রাথমিকভাবে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ১৪ কোটি ২৯ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। সাতটি উপজেলায় বাঁধের সংস্কার কাজ শেষ পর্যায়ে। আমাদের অফিসার এবং কর্মচারীরা মাঠে কাজ করছেন। সার্বিক তদারকির মধ্য দিয়েই কাজ চলছে। কাজ শেষ করতে কিছুটা সময় লাগছে। আশা করছি আগামী সপ্তাহের মধ্যেই বাঁধের কাজ শেষ হয়ে যাবে।

এই সাইটে নিজম্ব খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকে। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।