মোঃ বজলুর রহমান
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ জাতীয় নির্বাচন গত ৭ই জানুয়ারি২০২৪ইং শেষ হলেও নির্বাচনের আমেজ এখনও বিদ্যমান । রাজধানী ঢাকা শহরের পাশেই অবস্থিত মানিকগঞ্জ জেলা ।
জেলার তিনটি আসন শাসন ক্ষমতায় নির্বাচনে ২০ জন নেতা-নেত্রীর নাম উল্লেখ থাকলেও নির্বাচনের জয়ী হয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ তিন জাহিদ । যা বাংলাদেশের নির্বাচনে প্রথম উল্লেখযোগ্য নাম ।
আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জনপ্রিয়তায় বিভিন্ন রঙিন পোস্টার ও ফেস্টুন চোখে পড়ে । মানিকগঞ্জ ঘিওর উপজেলাতেও এর ব্যতিক্রম নয় । নেতাদের বিভিন্ন পোস্টার এর মাঝে বয়জ্যৈষ্ঠ এক নেতার ছবি নজরকারা । পোস্টারে উল্লেখিত আলহাজ্ব আতাউর রহমান (জানু দরজী)’র ছবিসহ রঙিন পোস্টার চারিদিকে লাগানো । তার এক কর্মীর নিকট এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি বলেন, “জানু দরজী হলেন বর্তমান মানিকগঞ্জ ১নং আসনের এমপি সালাউদ্দিন মাহমুদ জাহিদ সাহেবের মামা ।
এ বিষয়ে আসন্ন ঘিওর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আলহাজ্ব আতাউর রহমান (জানু দরজী) সাহেবকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি তা স্বতঃস্ফূর্তভাবে স্বীকার করেন ।
তিনি বলেন,” আমার পিতা মরহুম কফিল উদ্দিন দরজী । তিনি ঘিওর ইউনিয়নের প্রায় ৪৬ বছরের প্রয়াত চেয়ারম্যান ছিলেন । আমি দাবি করতে পারি যে, ছোট থেকেই আমরা রাজনীতি পরিবারের সদস্য ।
তথ্য নিয়ে জানা যায়, তিনি মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম উপদেষ্টা । রাজনীতির পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক কল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত । ঘিওরের কে.ডি উচ্চ বিদ্যালয় এর প্রতিষ্ঠাতা ও আজীবন দাতা সদস্য । এছাড়াও তিনি সম্প্রীতি বাংলাদেশ মানিকগঞ্জ জেলার ‘এক্সিকিউটিভ মেম্বার’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন । ঢাকার বারিধারা বসুন্ধরায় শুটার শুটিং ক্লাবে ‘লাইভ মেম্বার’ হিসেবে তার নাম উল্লেখযোগ্য।
আসন্ন ঘিওর উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচন সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি বলেন, ” পূর্ব থেকেই ঘিওর উপজেলার পরিবেশগত বৈচিত্র আমাকে চরম ব্যথিত করছে। আমি ঘিওর উপজেলাকে মডেল শহর হিসেবে জনগণের সামনে দৃশ্যমান করতে চাই ।
ঘিওর উপজেলাকে প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা গড়ার প্রত্যয়েই আমি মাঠে নেমেছি । দুর্নীতিমুক্ত শহর ও আদর্শ শহর হিসেবে জনগণকে উপহার দিতে চাই।
সব কথার এক কথা হল, আমি এ শেষ বয়সে নির্বাচনে নেমেছি আমার নামকে চির স্মরণীয় করতে । আমার মৃত্যুর পরেও যেন ঘিওর উপজেলার মানুষ আমার নামটি স্মরণ রাখতে পারে এই প্রত্যয়েই নির্বাচনে এসেছি । “