ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার পাড়িয়া ইউনিয়নের হিন্দু পাড়া গ্রামের রতন মোদক সন্তান গুলোর বাবা, বিয়ের ৬ বছর পর একসাথে ৪ সন্তানের মা হয়েছেন অনন্যা মোদক ।
২০১৮ সালে ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার পাড়িয়া ইউনিয়নের চা দোকানদার রতন কুমার মোদকের সাথে অন্যন্য মোদকের বিয়ে হয় । তবে শারীরিক নানা জটিলতায় ৬ বছর ধরে বাবা-মা হতে পারেননি এই দম্পত্তি।
৯ মাস আগে চিকিৎসকের তত্ববধায়নে অন্তস্বত্তা হন অনন্য মোদক । গেলো অক্টোবর মাসের ২০ তারিখে বগুড়ার একটি বে-সরকারি ক্লিনিকে ৪টি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন রতন কুমার মোদকের স্ত্রী । এরপরে খুশির বন্যা বইছে পুরো পরিবারে । এবং হৈ চৈই পড়েছে পুরো এলাকায়। ৪ সন্তান জন্মের খবর শুনে তাদের দেখতে ছুটে আসছে প্রতিবেশী সহ অন্য এলাকার লোকজন। ক’দিন হলো বগুড়ার ক্লিনিক থেকে গ্রামের বাড়ীতে ফিরেছেন রতন কুমার মোদকের ৪ কন্যা সন্তান ও তার স্ত্রী। বাবা-মা ও শ্বাশুড়ীকে নিয়ে কন্যা সন্তানদের দেখাশোনায় ব্যস্ত এখন পুরো পরিবার।
মায়ের ইচ্ছা মেয়ে গুলো তিনি নার্স বানাবেন , মানুষ সেবার নিয়োজিত রাখবেন। সন্তানের বাবা জানান, ৬ বছর পরে সন্তানের মুখ দেখতে পেয়ে অনেক আনন্দিত। কিন্তু ৪ সন্তানের ভরণ-পোষণ ও চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ।
এ জন্য স্থানীয় প্রশাসন ও বৃত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। স্থানীয় কয়েকজন জানান, রতন মোদক চা বিক্রি করে অনেক কষ্টে সংসার চালায়।
একসঙ্গে ৪ সন্তানকে নিয়ে বিপাকে পড়েছে। রতন মোদককে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা প্রশাসন সহ বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করেন তারা। এই ব্যাপার কথা হয়, বর্তমান প্যানেল চেয়ারম্যান আয়ুব আলী জানান, খবরটি শুনে আমরা দেখতে যাই। বাচ্চা গুলো সবাই সুস্থ আছে, বাচ্চা গুলো যেনো মানুষের মত মানুষ করতে পারে এই কামনা করি, সেই জন্য আমি তার মাকে সরকারি যে মাতৃকালীন ভাতা সেটি করে দেওয়া ব্যবস্থা করেছি।
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক কে জানি আরো কিছু বরাদ্দ নেওয়া যায়, কিনা সেও ব্যবস্থা করবেন। ঠাকুরগাঁওয়ে সিভিল সার্জনে ডাক্তার নূর নেওয়াজ আহমেদ বলেন, আমরা সবার সাথে কথা বলেছে , তাদের দেখাশোনার জন্য কোনো আর্থিক সহযোগিতা দেওয়ার চেষ্টা করবো, তারা যেনো সুস্থ থাকে।