সজিবুর রহমান রাজবাড়ী প্রতিনিধি
আগামী ৮ মে রাজবাড়ীর পাংশা ও কালুখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। এ নির্বাচনে পাংশা উপজেলায় ১০জন ও কালুখালী উপজেলায় ১১জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন। কালুখালী উপজেলায় লটারীর মাধ্যমে প্রতিক বরাদ্দের পর চেয়ারম্যান প্রার্থীর প্রতিক পাল্টে দিতে বাধ্য হয়েছে ।
এ নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। রাজবাড়ী জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটানিং অফিসার মোঃ অলিউল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় পাংশা ও কালুখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিক বরাদ্দ হয়। তবে কালুখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে মাসুদুর রহমান ও আলিউজ্জামান চৌধুরী টিটু দু’জনই আনারস প্রতিক দাবী করেন। পরে লটারীর মাধ্যমে আনারস প্রতিক মাসুদুর রহমান ও দোয়াত কলম প্রতিক পান। তবে পরে দুজন এসে প্রতিক পরিবর্তন করে নিয়ে গেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, কালুখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থীদের প্রতিক বরাদ্দের সময় বর্তমান চেয়ারম্যান আলিউজ্জামান চৌধুরী টিটু অনুরোধ করলেও না শুনে লটারীর মাধ্যমে মাসুদুর রহমান আনারস প্রতিক নেয়। বরাদ্দের পর মাসুদুর রহমান নিচে নেমে চলে গেলে তাকে ডেকে নিয়ে যায়, হুমকি ও তাকে টানাটানি করে নিয়ে এসে প্রতিক প্রত্যাহার করায়। অফিসের নিচে নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর এসে আনারস প্রতিক ছেড়ে দেন। এ নিয়ে সাংবাদিকরা ভিডিও ধারণ করেন।
চেয়ারম্যান প্রার্থী আলিউজ্জামান চৌধুরী টিটো বলেন, ইতিপূর্বে আনারস প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করি। এ কারণে তাকে ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করি। তারপরও লটারীতে সে পায়, তাকে অনুরোধ করলে ছেড়ে দেয়।
চেয়ারম্যান প্রার্থী মাসুদুর রহমান লটারীতে প্রতিক পাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রতিক ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন সদোত্তর না দিয়ে বলেন, আগে থেকে না বলার কারণে ছেড়েছিলাম না।
এরপর অনুরোধ করার কারণে ছেড়ে দিয়েছি। তবে হুমকি-ধামকি দেওয়ার কারণে ছেড়েছেন কিনা এমন প্রশ্ন এড়িয়ে যান।