এসডি সোহেল রানা স্টাফ রিপোর্টার
শেরপুর জেলার দুই উপজেলাতে শান্তি পুর্ন ভাবে বুধবার (৮ মে) ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের নিবার্চন শেষ হয়েছে।
এই নিবার্চনকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তার মাধ্যমে সকল কেন্দ্রে পাঠানো হয় নির্বাচনী সরঞ্জামাদি। অপরদিকে নির্বাচনটি অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ করতে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, আনসার সহ প্রতিটি ইউনিয়নে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্যাট দ্বায়িত্ব পালন করেন।
এই নির্বাচনে ঝিনাইগাতী উপজেলা থেকে চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১২ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ জন প্রতিদ্বন্ধিতা করেছেন। ৫৫টি কেন্দ্রের বিপরীতে মোট ১ লক্ষ ৫২ হাজার ৩০ জন নারি পুরুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
অপরদিকে শ্রীরবদী উপজেলাতে চেয়ারম্যান পদে ৭ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৪জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্ববন্ধিতা করেন। এতে ৮৬ টি কেন্দ্রের বিপরীতে ২ লক্ষ ৩৬ হাজার ৪৩৯ জন নারি পুরুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
২৫ হাজার একশ ২৩ ভোট পেয়ে ৬ হাজার একশ ১৩ ভোটের ব্যবধানে বেসরকারী ভাবে শ্রীবরদি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন জাহিদুল ইসলাম জুয়েল। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মোঃ ছালাহ উদ্দিন কৈ মাছ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৯ হাজার ১০ ভোট।
অপরদিকে ১৮ হাজার আটশ ৮৩ ভোট পেয়ে দোয়াত কলম প্রতীকে বেসরকারী ভাবে ঝিনাইগাতী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মো: আমিনুল ইসলাম। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বিত মোটরসাইকেল প্রতীকে মোঃ ফারুক আহমেদ ফারুক পেয়েছেন ১৬ হাজার ৫২ ভোট।
এ ব্যাপারে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আনোয়ারুল হক জানান, নির্বাচনটি অবাধ ও শান্তি পুর্নভাবে শেষ হয়েছে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, আনসার সহ প্রতিটি ইউনিয়নে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্যাট দেয়া হয়েছিল।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই ভোটগ্রহণ সংক্রান্ত সকল সরঞ্জামাদি স্ব-স্ব কেন্দ্র্রের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিজাইডিং অফিসার ও পুলিশ কর্মকর্তাদের হাতে বুঝিয়ে দেয়া হয়। বুধবার সকালে ভোট গ্রহন শুরুর আগেই নিরাপত্তার সাথে স্ব-স্ব কেন্দ্র্রে ব্যালট পেপার পৌঁছে দেয়া।