স্টাফ রিপোর্টার
ফারাক্কা বাঁধ মরণফাঁদ, জিকে প্রজে ক্ট এর পানি সরবরাহ, ফারাক্কা তিস্তা সহ সকল নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ের দাবিতে সংগ্রামে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে নদী বাঁচাও কৃষক বাঁচাও এই স্লোগানের ভিত্তিতে জাতীয় কৃষক ক্ষেত মুজুর সমিতি এক প্রচার অভিযান পরিচালনা করেন।
প্রচার অভিযানের নেতৃত্ব দেন জাতীয় কৃষক হুজুর সমিতির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কমরেড মোশারফ হোসেন নান্নু। এই প্রচার অভিযানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কমরেড ইকবাল কবির জাহিদ, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় সম্পাদক মন্ডলী সদস্য কমরেড অধ্যক্ষ কাজী নজরুল ইসলাম ফিরোজ। কেন্দ্রীয় নেতা কমরেড তসলিম উর রহমান, ঝিনাইদহ জেলা বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাহিদুল এনাম পল্লব।
জাতীয় কৃষক ক্ষেত মুজুর সমিতির এই প্রচার অভিযানটি মাগুরা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে সাক্ষাৎকারের মাধ্যম দিয়ে শুভ সূচনা করেন কমরেড মোশারফ হোসেন নান্নু।
এই প্রচার টিমটি মাগুরা জেলার গাংঙ্গালিয়া বাজার, শ্রীপুর উপজেলার খামারপাড়া বাজার, শ্রীকোল বাজার হয়ে শৈলকুপ উপজেলার আগাইপুর বাজার ২ নম্বর ফটিকতলা হয়ে হাট ফাজিলপুর বাজার দিয়ে বকশিপুর বাজার ,রায়ডা বাজার, শৈলকুপার কবিরপুর হয়ে গাড়াগঞ্জ বাজার দিয়ে ফুলহরি, আলমডাঙ্গা বাজার হয়ে হরিণাকুণ্ড চরপাড়া বাজারে প্রচার অভিযান পরিচালনা করে। চরপাড়া বাজার প্রচার অভিযান শেষ করে হরিনাকুন্ডর চুলকানি বাজারে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন। চুলকানি বাজারের সমাবেশে কৃষক নেতা কমরেড মন্নূর সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের
কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কমরেড ইকবাল কবির জাহিদ, জাতীয় কৃষক ক্ষেত মুজুর সমিতির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কমরেড মোশাররফ হোসেন নান্নু, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় সম্পাদক মন্ডলী সদস্য কমরেড অধ্যক্ষ কাজী নজরুল ইসলাম ফিরোজ, কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তসলিম উর রহমান, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের ঝিনাইদহ জেলার সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাহিদুল এনাম পল্লব, ঝিনাইদহ জেলার কৃষক ক্ষেতমজুর সমিতির অন্যতম নেতা কমরেড মিজানুর রহমান প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তাগণ বলেন যে ফারাক্কা বাঁধ বাংলাদেশের জন্য মরন ফাঁদ। ভারতের সাথে সরকারের অনেকগুলো চুক্তি হয়েছে তাতে ভারত লাভবান হয়েছে। বাংলাদেশ গঙ্গা ও তিস্তার পানির ন্যায্য হিসাব আনতে ব্যর্থ হয়েছে। জিকে প্রজেক্ট এখন বন্ধের পথে।
জিকে প্রজেক্ট শেচ প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশের কুষ্টিয়া ঝিনাইদহ চুয়াডাঙ্গা এবং মাগুরা জেলার ১ লক্ষ ৪২ হাজার হেক্টর জমির শেষ কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।
সৃষ্টি হয়েছে এই চার জেলায় তীব্র তাপদাহ। জনজীবন অতিষ্ঠ পরিবেশের এক মহাবিপর্যয়। তার প্রধান কারণ ভারত আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণ।
ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণের ফলে বাংলাদেশের কি কি ধরনের বিপর্যয় করতে পারে তা মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী অনুধাবন করেই ১৯৭৬ সালের ১৬ই মে ফারাক্কা লংমার্চ করেছিলেন।
জনগণের সাথে কোন তালবাহানা না করে দেশের স্বার্থ বিকিয়ে না দিয়ে অবিলম্বে জিকে প্রজেক্ট চালু করে এই ৪ জেলার ১৩টি উপজেলার ১লক্ষ ৪২ হাজার হেক্টর জমির শেচের পানি সরবরাহের নিশ্চয়তা প্রদানের দাবি জানান।