ডেস্ক রিপোর্ট
রাজপথে সহিংসতা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে হরতাল-অবরোধের মতো সহিংস কর্মসূচি থেকে দীর্ঘদিন বিরত থাকলেও আবারও সেই পথে ফিরল বিএনপি।কিন্তু তাদের সেই আন্দোলন সফলতার মুখ দেখেনি। তারপর রাজপথে সহিংসতা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে হরতাল-অবরোধের মতো সহিংস কর্মসূচি থেকে দীর্ঘদিন বিরত থাকলেও আবারও সেই পথে ফিরল বিএনপি।
আরও পড়ুনঃজামায়াতের মিছিলে পুলিশের লাঠি চার্জ
রোববার (২৯ অক্টোবর) সারা দেশে সকাল সন্ধ্যা হরতালের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি। শনিবার রাজধানীতে মহাসমাবেশের মধ্যেই এ ঘোষণা দিলেন দলের শীর্ষ নেতারা।
বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নয়াপল্টনে বিএনপির শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশে পুলিশের হামলার প্রতিবাদে এ হরতাল দিয়েছেন তারা।
শনিবার পছন্দের ভেন্যু নয়াপল্টনেই সমাবেশের অনুমতি পায় বিএনপি। তাদের ঘোষণা ছিল, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করবেন। এদিন লোক সমাগম হওয়ার কথা ছিল দুপুর দুইটা থেকে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের অনেক আগে থেকেই বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সমাবেশস্থলে আসতে থাকেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। একপর্যায়ে কাকরাইল মোড়ে তারা গাড়ি ভাঙচুর শুরু করেন।
বাস, পিকআপসহ বেশ কয়েকটি গাড়িতে ভাঙচুর চালান নেতাকর্মীরা। এতে কাকরাইল এলাকা পরিণত হয় রণক্ষেত্রে। ব্যাপক ভাঙচুর ও আগুন জ্বালানোর ঘটনা ঘটে। আগুন দেয়া হয় পুলিশ বক্সে। এমনকি এ সময় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ঢিল ছুঁড়তে দেখা যায় বিএনপি নেতাকর্মীদের।
এছাড়া বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলায় একজন নিহতসহ ৪১ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পুলিশের একজন এসআইকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে ২২ জন এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৯ জন আহত পুলিশ সদস্য চিকিৎসাধীন।
বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা রাজারবাগে পুলিশ হাসপাতালেও আগুন দিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমের ৭জন সাংবাদিকও আহত হয়েছেন।