রবিন চৌধুরী রাসেল রংপুর জেলা প্রতিনিধি:
নিজের পৈত্রিক সম্পত্তি স্বাধীনভাবে ভোগ দখলের দাবিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনায় রংপুরে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী নজরুল ইসলাম।
শনিবার (২৮অক্টোবর) বেলা ১২ টায় রংপুর নগরীর কেরানীপাড়াস্থ একটি জাতীয় পত্রিকা অফিসে সংবাদ সম্মেলন উপস্থাপন করেন নজরুল ইসলাম। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমি রংপুর সিটি কর্পোরেশনের হারাগাছ থানার বেনুঘাট গ্রামের আবুল কাশেম ও সোবেরা বেগমের ছেলে। আমার দাদী হতে আমার বাবা ও দুই চাচার প্রাপ্য জমির পরিমান ১৪৯ শতক।
যা পাশাপাশি এলাকার মহাব্বত গ্রামের মোস্তাফিজার রহমান মোস্তা, মেহেদী হাসান মুরাদ, শফি কসাই, জহুরুল ইসলাম, সাদের আলী, জিলু, শফিকুল ইসলামগং দখল করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। আমরা আমাদের জমিতে গেলেই মোস্তাফিজার রহমান মোস্তা জাল দলিল নং-২৫১৭৭/৬২ প্রদর্শণ করিয়া আমাদের জমি তাহাদের বলে দাবী করে এবং বিবাদ সৃষ্টি করে আমাদেরকে মারপিট, খুন-জখম করার জন্য উর্দ্বত হয়।
তিনি আদালতে মিছ পিটিশন নং-১০/২১ মোকদ্দমা দায়ের করিলে তাদের দলিলটি জাল বলিয়া প্রমাণিত হলে ও তপোধন ইউনিয়ন ভূমি অফিসের দাখিলীয় প্রতিবেদন আমাদের পক্ষে রিপোর্টের প্রেক্ষিতে আদালত আমাদের পক্ষে রায়/ডিক্রি প্রদান করেন । রায় তাদের বিপক্ষে যাওয়ায় মামলার সাক্ষী দেয়ার কারণে রাইসুল ইসলাম, শাওন, নুরুল, সাইফুল ইসলাম, রংপুরদেরকে ধারালো অস্ত্র দ্বারা গুরুতর জখম করে।
এতে রাইসুল ইসলাম বাদী হইয়া আরপিএমপি হারাগাছ থানায় মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন থাকাকালে ২০ জুন/২০২১ সকালে উল্লিখিত মোস্তাগং দলবদ্ধ হইয়া বিভিন্ন অস্ত্র লইয়া আমাদের জমিতে অনাধিকার প্রবেশ করিয়া প্রকাশ্যে আমাদের উদ্দেশ্য অকাথ্য ভাষায় গালি গালাজ ও হত্যার হুমকি প্রদর্শণ করিয়া আমাদের জমিতে রোপন করা প্রায় ৮০ (আশি) মন ধান (যাহার বাজার মূল্য প্রায় ৯৬,০০০/- (ছিয়ানব্বই হাজার) টাকা কাটিয়া মুরাদের বাড়ীতে রাখে। এলাকার লোকজনের নিকট সংবাদ পাইয়া আমি রাইসুল ইসলামসহ আমার জমিতে আসিলে তারা আমাদেরকে দেখিয়া প্রকাশ্যে হুমকি প্রদর্শণ করে । গ্রামের অনেকেই ঘটনা দেখেছেন।
এভাবেই একের পর এক সমস্যা সৃষ্টি করে যাচ্ছে মোস্তাগং। এ ব্যাপারে জমিতে যাতে আমি ও আমার পরিবার স্বাধীন ভাবে চলতে পারি ও জমিতে ফসল ফলাতে পারি। সে ব্যাপারে প্রশাসনসহ সকলের সহযোগীতা কামনা করছি। সংবাদ সম্মেলনে নজরুলের এলাকাবাসী এবং ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।