ওসমান গনি মুন্সীগঞ্জে জেলা প্রতিনিধিঃ
মুন্সীগঞ্জে গজারিয়া উপজেলা দুই শতাধিক গ্রাহকের প্রায় এক কোটি ২০ হাজার টাকা নিয়ম মাফিক জমা দিয়েও বছরের পর বছর ধরে বায়রা লাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানী লিঃ কর্মকর্তাদের পিছু ঘুরে না পেয়ে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগী গ্রাহকরা।
এ ব্যাপারে শতাধিক গ্রাহক রবিবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে মানববন্ধন শেষে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো: সাইফুল ইসলামের বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
গ্রাহকদের অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়,স্থানীয় হালিম মৃধা ও আবুল হোসেন এর মাধ্যমে তাঁরা বায়রা লাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানীতে নিয়ম তান্ত্রিক ভাবে টাকা জমাদান করেন কিন্তু বীমার মেয়াদ শেষ হলেও তাঁরা এখন টাকা পাচ্ছেন না।
ভুক্তভোগী বড় রায়পাড়া গ্রামের আয়েশা বেগমসহ কয়েক জন ভুক্তভোগী গ্রাহক জানান,দ্বিগুণ লাভের লোভ দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে টাকা নেয়। কিন্তু কয়েক বছরেরও বেশি সময় ধরে স্থানীয় অফিস বন্ধ,এরিয়া ম্যানেজারের কোনো খোঁজ পাচ্ছি না। ফোন দিলে ফোন ধরে না। আমরা আমাদের প্রাপ্য টাকা ফেরত চাই।
বালুয়াকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য সোলেমান হোসেন ঢালী বলেন,আমিও প্রতারণার শিকার। বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের শত শত মানুষ বায়রা লাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানীর সদস্য হয়েছে। ১২ বছর ধরে অনেক মানুষ টাকা দিয়ে আসছে। মেয়াদপূর্তি হলেও কাউকে মূল বা লাভের টাকা ফেরত দেয়নি। আমরা প্রশাসন মাধ্যমে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের প্রাপ্য টাকা ফেরত চাই।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়,বায়রা লাইফ খেটে খাওয়া মানুষদের লোভনীয় প্রস্তাব দিয়ে তাদের ফাঁদে ফেলেন।এলাকার সাধারণ মানুষদের একে একে সদস্য বানিয়ে মাসিক কিস্তি সংগ্রহ করতে থাকেন। গ্রাহকরা বিশ্বাস করে ২০০ বা ৫০০ টাকা মাসপ্রতি জমা দিতে থাকেন। ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে অল্প অল্প করে সঞ্চয় করতে থাকেন এবং আশায় বুক বাধেন। মেয়াদপূর্তিতে বিশাল অংকের টাকা গ্রাহকরা পাবার কথা থাকলেও ঘটেছে তার উল্টো, প্রাপ্য টাকা পাননি কেউই।
এবিষয়ে বালুয়াকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের ব্যাপারে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযুক্ত বায়রা লাইফের ইনসিওরেন্সে তৎকালীন এরিয়া ম্যানেজার হালিম মৃধা বলেন,সাধারণ মানুষ না বুঝে, সেই সাথে অধৈর্য হয়ে আমাকে অভিযুক্ত করছেন আমি গ্রাহকের টাকা কোম্পানীর নিয়ম মাফিক অফিসে জমা দান করি কিন্তু মেয়াদপূর্ণ হলেও এখন কোম্পানি টাকা দিচ্ছে না আমি নিজেও এই মুহুর্তে অসহায় বোধ করছি।
এ বিষয়ে বায়রা লাইফের ইনসিওরেন্সে প্রকল্প ম্যানেজার মো:মিজানুর রহমানকে একাধিক বার ফোন দিলে রিসিভ না করে ফোন বন্ধ করে রাখেন।