নেত্রকোনার কলমাকান্দায় পূর্ব শত্রুতার জেরে পৃথক পৃথক দুটি বড় পুকুরে বিষ প্রয়োগে কোটি টাকার মাছ মেরে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা।
বুধবার (২৮ নভেম্বর ) দিনগত মধ্য রাতে উপজেলার কৈলাটি ইউনিয়নের কনুড়া চাড়িয়া গ্রামের ফাতিমাতুয যাহরা (রাঃ) মহিলা মাদ্রাসার দুটি পুকুরে এ ঘটনা ঘটে। বিষ প্রয়োগের ফলে পুকুরে থাকা পাবদা মাছ মরে ভেসে গেছে। জানা গেছে, প্রায় ৯ মাস পূর্বে স্থানীয় এক মৎস্য চাষী রায়হান ফাতিমাতুয যাহরা (রাঃ) মহিলা মাদ্রাসার পৃথক পৃথক দুটি পুকুর (৫ একর) ছয় লক্ষ টাকার চুক্তিতে তিন বছরের জন্য লীজ নেন।
এর দুটি পুকুরে পাবদা চাষ করেন। এতে করে তার প্রায় ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এক কেজিতে ১০-১২ টি পাবদা মাছ যখন হবে তখন বাজারে বিক্রি করা হতো। যা বাজার আনুমানিক মূল্য কোটি টাকা বিক্রি হতো । মৎস্য চাষী প্রবাসী রায়হান বলেন, আমাকে শেষ করে দিলো ওরা। আমি প্রবাস থেকে দেশে এসে এলাকার মানুষের পুকুর লীজ মৎস চাষ করে আসছিলাম। প্রায় ৯ মাস পূর্বে এলাকার ফাতিমাতুয যাহরা (রাঃ) মহিলা মাদ্রাসার পৃথক পৃথক দুটি পুকুরে (৫ একর) ছয় লক্ষ টাকার চুক্তিতে তিন বছরের জন্য লীজ নিয়ে পাবদা মাছের চাষ শুরু করি।
এতে আমার প্রায় ষাট লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। এরমধ্যে ৪০ লক্ষ টাকা ঋণ রয়েছে। আমি এখন কি করবো জানিনা? এই ক্ষতির পেছনে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি। তিনি আরো বলেন, ঘটনার রাতে নৌকা দিয়ে পুকুরে যখন মাছ দেখতে যাই। তখন দেখি পুকুরের মাছগুলো ভেঁসে উঠতেছে। তা দেখে আমি ডাক চিৎকার করলে আশপাশে লোকজন ছুটে আসেন।
এ ব্যাপারে অভিযোগ দাখিল করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। পুকুর সংলগ্ন ফাতিমাতুয যাহরা (রাঃ) মহিলা মাদ্রাসার শিক্ষক মো. মঈন উদ্দিন জানান, এসে দেখি রায়হান আহাজারি করছেন। পরে তারা পুকুরে নামেন। এসময় পানির নীচের বিভিন্ন স্থান থেকে বিষ প্রয়োগর আলামতসহ কিছু বিষ উদ্ধার করতে সক্ষম হন। স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য সজল ইসলাম বলেন, পুকুর দুটিতে বিষ প্রয়োগের কারণেই সব মাছ মেরে ফেলেছে।
এই লোকটি এখন ধ্বংস হওয়ার পথে। এ বিষয়ে কলমাকান্দার সিধলী তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক আশরাফু ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ নিয়ে ছুটে যায়। পরিদর্শন শেষে বিষ প্রয়োগের আলামত জব্দ করেছি। পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।