মোঃ হৃদয় হোসেন, নিজস্ব প্রতিনিধি
আমাদের দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। মানুষের জীবন যাত্রার মান, শিক্ষার হার, অর্থনৈতিক সূচক বা অবকাঠামোগত উন্নয়নের সাথে সাথে মানুষের মন মানসিকতারও উন্নয়ন হয়েছে। মেয়েদেকে এগিয়ে যেতে এখন আর অতো বেশি বাধাগ্রস্ত হতে হয় না বা অন্য কারো কথা শুনতে হয় না। অথচ আশির দশকেও আমরা অনেক কুসংস্কারে বিশ্বাস করতাম, অনেক ধরনের আজেবাজে কথা মেয়েদেরকে শুনতে হতো। যেমন- মেয়েরা এটা করতে পারবে না, ওটা করতে পারবে না, এখানে যেতে পারবে না, ওখানে যেতে পারবে না ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্ত এখন অন্তত মেয়েদের এসব কথা শুনতে হয় না।
মেয়েদের প্রতি তার নিজের পরিবারের সদস্যদের ভাবনা এখন অনেক বদলেছে কারন একজন মেয়ের এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রথমেই তার পরিবারের সাপোর্ট লাগবে । তাছাড়া চলার পথে বা কর্মক্ষেত্রে পুরুষের দৃষ্টিভংঙ্গিও এখন কিছুটা বদলেছে। তবে একজন নারীর এগিয়ে যাওয়ার বিষয়টা একটি পুরুষের মতো অতোটা সাবলিল নয়। মাতৃত্ব, সন্তান, সংসার এবং পরিবার-এই বিষয়গুলোর সাথে একজন নারী অতোপ্রতোভাবে জড়িত। এসবের জন্য একজন নারীকে অনেক কিছু সেক্রিফাইস করতে হয়। তাই একজন নারী চাইলেই এসব ভুলে বা ছেড়ে থাকতে পারে না। থাকলেও তার অন্তর আত্মা ঢুকরে ঢুকরে কেঁদে ওঠে, যা কখনোই কেউ শুনতে পায় না। প্রকৃতি একজন নারীকে এভাবেই তৈরি করেছে। একজন নারীর একটি বিশেষ দিক হল সে চাইলে সকল দিক একা হাতে গুছিয়ে সবকিছু সামলিয়ে যে কোন অসাধ্যও সাধন করতে পারে তার পরিবারের পাশে রেখে । অনেক সময় নিরুপায় হয়ে নারীরা অনেক শক্ত চ্যালেঞ্জও গ্রহণ করে। একজন নারীর সফলকাম হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হলো সে যে কাজটিই করে সেটি অনেক ডেডিকেশন দিয়েই করতে পারে, যদি সে মন থেকে চায়। আজকে আমাদের দেশে যেসব নারীরা স্ব স্ব ক্ষেত্রে এগিয়েছে বা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তাদেরকে অনেক কঠিন কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সামনে এগুতে হয়েছে তার মধ্যে এ্যাড. ফারজানা ইয়াসমিন রাখি ও এর বাহিরে নয় তাদের কারোরই চলার পথ অতো সহজ ছিল না তবে যেসব নারীরা তথাকথিত সব বাধাবিপত্তি মোকাবিলা করে সামনে এগিয়ে যায় দিনশেষে তারাই সাফল্য পায়। ইতিহাস তো তাই বলে। ইনশাআল্লাহ এ্যাডভোকেট ফারজানা ইয়াসমিন রাখি তিনি একদিন স্বপ্ন পূরণ করবেই ইনশাআল্লাহ ।