ইমাম হাসান সোহান, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার কৃষকরা শাক-সবজি উৎপাদনে বছরের প্রতিটি সময় ব্যস্ত থাকেন। এই উপজেলা থেকে পর্যাপ্ত শাক-সবজি ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন শহরে পৌঁছে যায়।
গত কয়েকদিন যাবত টানা বর্ষণে এখন ধনবাড়ীর প্রতিটি গ্রামে শাক-সবজি চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ফলে উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শাক-সবজি পৌঁছানোর জন্য প্রয়োজনীয় পরিমাণ পন্য না থাকায় এবং চাহিদা বেশি থাকায় শাক-সবজির মূল্য আকাশচুম্বী হয়ে গেছে। অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে ধনবাড়ী উপজেলার ভেতরে নিজেদের চাহিদাই সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। কৃষকরা জানান অতিরিক্ত বৃষ্টির জন্য লাউ এবং শাক জাতীয় সবজির গাছ পচে গেছে।
ফলে আগে যেখানে এক বিঘা জমি থেকে প্রতিদিন দুই তিন মণ সবজি সংগ্রহ করা যেত এখন এক মণ সবজি ওঠে না । তাই স্হানীয় জনগণের চাহিদা পূরণ করতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। এদিকে ধনবাড়ীর পৌর কিচেন মার্কেট ঘুরে জানা যায় একটি লাউ ১০০ টাকা ,করল্লা ৮০ টাকা/কেজি, পটল ৮০/ টাকা কেজি,শশা দেশী ১০০ টাকা/কেজি, আলু ৬০টাকা/কেজি, বেগুন ৮০ টাকা/কেজি,কাঁচা মরিচ ৩৬০ টাকা/ কেজি, পেঁপে ৪০ টাকা /কেজি, আলু ৭০ টাকা/কেজি,কচু ৬০ টাকা,লাল শাক ৫০ টাকা/কেজি,মুখী ৮০ টাকা/কেজি,দেশী ছোট মাছ ৫০০-৭০০ টাকা /কেজি, বড় রুই কাতলা ৪০০ টাকা/কেজি, শিং চাষের ৫০০ টাকা/কেজি ,দেশী মুরগী ৫০০ টাকা/কেজি, ফার্মের মুরগী ১৯০ টাকা/কেজি , কর্ক মুরগী ২৮০ টাকা/ কেজি, ডিম ৬০ টাকা হালি, গরুর মাংস ৭০০ টাকা/ কেজি, খাসির মাংস ১১০০ টাকা/কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড বাসিন্দা আব্দুস সালাম জানান, ‘ কিছুদিন পূর্বে তরিতরকারির যে দাম ছিল এখন তা প্রায় দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে।
মাছ মাংসের দাম শুনে কেনার সাহস পাই না । ডিম আলু কিনে যে বাসায় যাব সেইগুলোর দাম ও চড়া । আমরা নিত্য বাজার সদাই করতে হিমশিম খাচ্ছি । সরকারের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন।