নিজস্ব প্রতিবেদক
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যার পক্ষে যেসব গণমাধ্যম ফ্যাসিস্ট সরকারকে সহযোগিতা করেছে তাদের বিচার হবে। এরই মধ্যে কয়েকটি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় কয়েকজন গ্রেফতারও হয়েছেন। এ ছাড়া তদন্তে যাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যাবে তাদেরও আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে।
’শনিবার সকালে ঢাকা থেকে রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে সৈয়দপুর বিমানবন্দর নেমে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘ভারত বাংলাদেশে উগ্রবাদ ছড়িয়ে দিয়ে নিজেদের উগ্রবাদ ঢেকে রাখতে চাইছে। আমাদের অবশ্যই সত্যটাকে তুলে ধরতে হবে। যেটা সত্য, যেটা আসলেই দেশে ঘটছে সেই জিনিসটাই যদি আমরা তুলে ধরতে পারি। দেশের মানুষের কাছে প্রচার করতে পারি। পৃথিবীর কাছে প্রচার করতে পারি। এতটুকু আমাদের জন্য যথেষ্ট হবে।’
উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমাদের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কোনো নতজানু পররাষ্ট্র নীতিতে বিশ্বাস করে না। ফলে বাংলাদেশে যেটা ন্যায্য প্রাপ্তি সে ন্যায্যতা ও সমতার ভিত্তিতে কিন্তু অন্য যেকোনো দেশের সঙ্গে আমরা সম্পর্ক করব। আমরা মাত্র দুই মাস হয়েছি এসেছি। তো আমাদেরও সে সময়টুকু দিতে যতে হবে কাজ করার।’
আবু সাঈদের আত্মদানের কথা স্মরণ করে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের যে সমস্যাগুলো রয়েছে আমাদের নবনিযুক্ত যিনি ভিসি স্যার রয়েছেন তার সঙ্গে আমরা আলোচনা করেছি। এখান হলের প্রয়োজন রয়েছে। এ ছাড়া এখানে আরও কিছু সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির প্রয়োজন রয়েছে। আবু সাইদ যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, যে বিশ্ববিদ্যালয় এই অভ্যুত্থানের লড়াই শুরু করেছে। অবশ্যই সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা, শিক্ষকেরা অবহেলিত থাকবেন না। তাদেরকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।’
দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে এক বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা স্মারক প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২টি বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশ নেন।
আনন্দ শোভাযাত্রা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ মিনার চত্বরে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শওকত আলী এতে সভাপতিত্ব করেন।
সভায় অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মো. তানজীম উদ্দিন খান, শহীদ আবু সাইদের বাবা মো. মকবুল হোসেনসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন বক্তব্য দেন।